মহাকুম্ভের প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সাড়া। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মেলা। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রায় ৪০ কোটি ভক্তের সমাগম হতে পারে এবার। এমনটাই মনে করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মেলায় আগত ভক্তদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা দেবে সরকার। পিছিয়ে থাকছেন না শিল্পপতিরাও। দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি গৌতম আদানির গ্রুপও ভক্তদের পাশে দাঁড়াবে। সেজন্য তারা যৌথভাবে কাজ করবে ইসকনের সঙ্গে। খবরে প্রকাশ, প্রতিদিন এক লাখ ভক্তের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবে আদানি গ্রুপ।
বিজনেস টুডে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিষেবাতে প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানো হবে। যার মধ্যে ১৮ হাজার স্যানিটেশন কর্মীও অংশ নেবেন। প্রসাদটি প্রতিদিন প্রস্তুত করবেন ২৫০০ কর্মী। সেজন্য হাই-টেক সুবিধাযুক্ত দুটি রান্নাঘর প্রস্তুত করা হবে।
প্রসাদে কী কী খাওয়ানো হবে? মহাকুম্ভে আদানি গ্রুপ এবং ইসকনের তরফে যে খাবার দেওয়া হবে তার মধ্যে থাকবে রুটি, ডাল, ভাত, সবজি এবং মিষ্টি। পরিবেশবান্ধব প্লেটে ভক্তদের পরিবেশন করা হবে। মোট ৪০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। মেলায় আগত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক এবং শিশুদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করবে আদানি গ্রুপ।
প্রসাদ বিতরণের পাশাপাশি আদানি গ্রুপ আরতির সামগ্রীও বিনামূল্য়ে দেবে। গৌতম আদানির গোষ্ঠী গোরখপুরের গীতা প্রেসের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তি করেছে। সেখানে প্রায় ১ কোটি আরতি সংগ্রহ ছাপা হবে। যা পরে বিতরণ করা হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
প্রসঙ্গত,প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা স্নানের মাধ্যমে শুরু হবে। এছাড়াও ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি স্নান, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী স্নান ও ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা স্নানের আয়োজন করা হবে। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি স্নানের মাধ্যমে এই মহাকুম্ভ শেষ হবে। দেশ-বিদেশের ভক্তরা যমুনা, সরস্বতী এবং গঙ্গা নদীর পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে প্রয়াগরাজে আসেন।