বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব মহাকুম্ভের 'বিজয়া' হয়ে গেল মহাশিবরাত্রিতে। গত ৪৫ দিনের এই বিরাট কর্মযজ্ঞ শেষ হল। ইতিমধ্যে ত্রিবেণী সঙ্গমে অবগাহন করেছেন ৬৬ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী। যা দেখিয়ে দিল, হাজার বছর ধরে চলে আসা সঙ্গমে পবিত্র স্নানের ঐতিহ্য আজও অব্যাহত।
মহাকুম্ভের শেষ দিনে ১.৪৪ কোটি পুণ্যার্থী ত্রিবেণীতে স্নান করেছেন। তিন কোটি ভক্তের আগমনের কথা ছিল। সবমিলিয়ে ৪৫ দিনে কুম্ভ স্নান করা পুণ্যার্থী সংখ্যা ৬৬ কোটি ছাড়িয়েছে।
এবারের মহাকুম্ভ নানা দিক থেকে বিশেষ ছিল। ১৪৪ বছর পর এমন সংযোগ তৈরি হয়েছে। প্রয়াগরাজে পৌঁছতে পুণ্যার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু সঙ্গমে ডুব দিতেই সকলের যাবতীয় ক্লান্তি দূর হয়েছে। ভিভিআইপি থেকে আম আদমি ডুব দিয়েছেন অমৃত কুম্ভে। সংখ্যাটা দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার সমান।
নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কুম্ভ
কোটি কোটি মানুষ ৪৫ দিন ধরে চলা মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন। এত বড় একটা উৎসবে তৈরি হয়েছে একাধিক রেকর্ড। কখনও পদদলিত হয়ে নিহত ভক্তদের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার কখনও রাজনীতিও হয়েছে সঙ্গমের জল নিয়ে। তা সত্ত্বেও মহাকুম্ভের সময় কোটি কোটি মানুষকে অবগাহন করেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মহাকুম্ভে এখনও পর্যন্ত ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষ স্নান করেছেন। তার মানে আমেরিকার জনসংখ্যার দ্বিগুণ মানুষ মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন। এটা বিশ্ব রেকর্ড।
মহাকুম্ভে ৪৫ কোটি ভক্তের আগমনের অনুমান করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রতিদিন গড়ে ১.৫ কোটিরও বেশি সঙ্গমে স্নান করেছেন। ৩০ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী ট্রেনে কুম্ভমেলায় পৌঁছেছেন। সেই সঙ্গে ৭৩টি দেশের প্রতিনিধি এবং ৫০ লক্ষ বিদেশী নাগরিকও মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছেন।