
উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভে পদদলিত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এরই মধ্যে সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। তিনি বলেন, ঘটনাটা ততটাও বড় নয়, যতটা বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে।
হেমা মালিনী বলেন, 'আমরাও কুম্ভে গিয়েছিলাম। সঙ্গমে স্নান করলাম। পদদলিত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু সেটা এতটাও বড় নয়। সবকিছু ম্যানেজ করা হয়েছিল। আমি এই দুর্ঘটনা নিয়ে খুব বেশি জানি না। তবে ঘটনাটি এতটাও বড় নয়, যতটা বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছ।' তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার প্রয়াগরাজে গিয়ে পবিত্র স্নান করবেন। পরিস্থিতি সামালনো না গেলে কি তিনি যেতেন?'
প্রসঙ্গত, এদিন সংসদে মহাকুম্ভে ইস্যু উত্থাপন করেন সমাদবাদিী পার্টির প্রধান অখিবলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, সরকার ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বললেও আসলে অনেক বেশি পূণ্যার্থী প্রণ হারিয়েছেন। সেই ইস্যুতেই অখিলেশকে পাল্টা দেন অভিনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, অখিলেশের কাজই হল ভুল তথ্য পরিবেশন করা।
অখিলেশ এদিন লোকসভায় দাবি করেন, কুম্ভের দায়িত্ব যেন ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বলেন, 'এই সরকার বাজেট নিয়ে বড়বড় কথা বলছে। তথ্য সামনে আনছে। একইভাবে কুম্ভে মৃতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছে না। সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সরকারের উচিত, কুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সবাইকে অবহিত করা। মহাকুম্ভের বিপর্যয় মোকাবিলা-সহ সব দায়িত্ব আর্মির হাতে তুলে দেওয়া উচিত।'
গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভস্নানের আগে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩০ জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মৃত্যুর সংখ্যা লুকোনো হচ্ছে। কোনও কোনও নেতা এও দাবি করেছেন, বহু পূণ্যার্থীর পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের সাহায্যও করছে না প্রশাসন।