প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। আহত ৬০। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। বলেন,'এই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পুণ্যার্থীদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই ঘটনায় যাঁরা আত্মীয়স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি'। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন,'গত রাত থেকে মেলা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছি। যথাবিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে'।
এ দিন নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রতিটি মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেব। বিচার বিভাগীয় কমিশন পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি প্রয়াগে গিয়ে সরজমিনে পরিস্থিতি দেখে আসবেন'।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যোগ করেন,মৌনী অমাবস্যার পুণ্যস্নান করতে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে প্রয়াগরাজে বিপুল সংখ্যক ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। আখড়া মার্গে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ৯০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ৩০ জন মারা গিয়েছেন। প্রয়াগরাজে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন। আখড়া মার্গের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে'।
প্রয়াগরাজে শাহি স্নানের পর সকলের এখন বাড়ি ফেরার তাড়া। তাই বেরোনোর রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'প্রতিটি পুণ্যার্থী যাতে নিরাপদে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। প্রয়াগরাজের স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড় যাতে না জমে, আরও বেশি বিশেষ ট্রেন এবং অতিরিক্ত বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়াগরাজ অভিমুখে আসা প্রতিটি রাস্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে যান চলাচলে বাধা না হয়'। সেই সঙ্গে অযোধ্যা, বারাণসী, মির্জাপুর এবং চিত্রকূট প্রশাসনকেও সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।