Advertisement

Farmer Suicide: সরকার থেকে পেয়েছিলেন সেরার সম্মান, আত্মঘাতী হলেন সেই কৃষক

মহারাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক সম্মানিত এক কৃষক বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার দেওয়ালগাবরাজ তহসিলের শিবনি আরমাল নামে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সরকার কর্তৃক সম্মানিত এক কৃষক বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত কৃষকের দেহ তার জমিতে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, ৪৩ বছর বয়সী ওই কৃষককে ২০২০ সালে মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক তরুণ কৃষক পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছিল।

প্রতীকি ছবিপ্রতীকি ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 13 Mar 2025,
  • अपडेटेड 5:59 PM IST

মহারাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক সম্মানিত এক কৃষক বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার দেওয়ালগাবরাজ তহসিলের শিবনি আরমাল নামে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।  সরকার কর্তৃক সম্মানিত এক কৃষক বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত কৃষকের  দেহ তার জমিতে পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, ৪৩ বছর বয়সী ওই  কৃষককে ২০২০ সালে মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক তরুণ কৃষক পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছিল। 

গ্রামবাসীদের জলের সমস্যার সমাধানের জন্য মৃত কৃষক গত মাসে শিবানী আরমাল পুকুরে ৫ দিনের অনশন ধর্মঘটও করেছিলেন। সরকার কর্তৃক সম্মানিত ওই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মৃত কৃষকের পকেটে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে যাতে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এলাকার কৃষকদের জলের অভাবে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত কৃষক কৈলাস নাগরে তার সুইসাইড নোটে এলাকার ১৪টি গ্রামের কৃষকদের জল সরবরাহের জন্য ৫ দিনের অনশনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি চিঠিতে আরও জানিয়েছেন যে, জল সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁর তদেহ সরানো উচিত নয়। মৃত কৃষক তার বাবা, স্ত্রী এবং ৩ সন্তান রেখে গেছেন।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার উদ্বেগজনক হার স্বীকার করেছে। সরকার স্বীকার করেছে যে গত ৫৬ মাসে প্রতিদিন গড়ে আটজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে কৃষকদের আত্মহত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা এক প্রশ্নের জবাবে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। এই পরিসংখ্যান মহারাষ্ট্রের কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মকরন্দ যাদব পাতিল সোমবার, ১০ মার্চ নিশ্চিত করেছেন যে গত ৫৬ মাসে প্রতিদিন গড়ে আটজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। বিধানসভা পরিষদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এনসিপি এমএলসি শিবাজিরাও গর্জের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী কৃষকদের আত্মহত্যার কারণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মারাঠওয়াড়া বিভাগে ৯৫২ জন, আকোলায় ১৬৮ জন, ওয়ার্ধায় ১১২ জন, বীডে ২০৫ জন এবং অমরাবতী বিভাগে ১,০৬৯ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement