Maharashtra Political Crisis: বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে অসমের গুয়াহাটি পৌঁছে গেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে ৪৬ জন বিধায়ক রয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার নম্বরের দিক থেকে বাঁচাতে পারবে না। কী পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে? প্রতি মুহূর্তের আপডেট।
সরকারি বাসভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেন উদ্ধব ঠাকরে। বাইরে সমর্থকদের ভিড়। তাঁদের দেখে নমস্কার করলেন তিনি।
সরকারি বাসভবন ছাড়লেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি যাচ্ছেন 'মাতোশ্রী'তে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, উদ্ধব ইস্তফা দেবেন না।
'আমি ইস্তফা দিতে তৈরি। কারও উপর নির্ভর করি না। আমার পরিবর্তনে অন্য কোনও শিবসৈনিক মুখ্যমন্ত্রী হলেও খুশি হব। যারা ছেড়ে চলে গেলেন, তাঁদের মধ্যে কোনও একজনও যদি আমায় এসে একবার বলতেন, আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাই না, আমি বর্ষা ছেড়ে মাতশ্রীতে ফিরে যেতাম হাসিমুখে। তাই বলছি, ক্ষুব্ধ বিধায়করা ফিরে আসুন। কথা বলুন।' ভার্চুয়াল বার্তায় বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
ফেসবুক লাইভে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি একটুও চাপে নেই বলে দাবি রাজ্যের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নিতিন রাউতের। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ হাসিখুশিই দেখলাম। সরকার বিপদে পড়লে তিনি নিশ্চয়ই হাসতে পারতেন না। এর অর্থ সরকারের সামনে কোনও সঙ্কট নেই। সব ঠিক আছে।
শিবসেনা তাদের বিধায়কদের জন্য হুইপ জারি করেছে। সন্ধ্যা ৫টায় বর্ষায় (উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি) দেখা করার কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে না এলে দল ছাড়তে চান বলে বিবেচিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন ক্যাবিনেট মিটিংয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের স্থায়িত্ব প্রসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'দেখা যাক কী হয়।'
মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ। করোনা আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বৈঠক করলেন ভার্চুয়ালি। বৈঠকে হাজির হলেন না ৮ মন্ত্রী। আজই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন উদ্ধব ঠাকরে।
এটা সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সঙ্কট। শুধু সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী নন, একযোগে বিরোধীদের টার্গেট। বিজেপি-র বিরুদ্ধে সর্বদা সরব বলেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে টার্গেট করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সঙ্কট নিয়ে বললেন কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট।
একদিকে মহারাষ্ট্রে সরকার টলমল। একের পর এক বৈঠক। বিধানসভা ভাঙার পরিস্থিতি। এহেন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারিও।
মহারাষ্ট্র রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমেই ব্যাপক আকার নিচ্ছে। মুম্বইয়ে জরুরি বৈঠক শুরু কংগ্রেসের। বৈঠকের নেতৃত্বে কংগ্রেস মন্ত্রী ও নেতা বালসাহেব থোরাট।
আজই সম্ভবত মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভাঙার পথে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন উদ্ধব। ট্যুইটারে এমনই ইঙ্গিত দিলেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।
বিজেপি-র লক্ষ্য গোটা ভারত দখলে নেওয়ার। প্রথমে ওরা বলছিল, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা। এখন টার্গেট বিরোধী-মুক্ত ভারত। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে একথাই বললেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁদের সঙ্গেই আছেন। দাবি করলেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। জানালেন, মুম্বই ফিরছেন বিধায়করা। সব মিলিয়ে দুই শিবিরে চরম তৎপরতা।
একনাথ শিন্ডে আমাদের পুরনো সঙ্গী। আমার বন্ধু। আমরা ৪০ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। গুয়াহাটিতে বিধায়কদের সঙ্গে কথা হয়েছে। একনাথ শিন্ডের সঙ্গেও কথা হয়েছে। বিধায়করা সবাই শিনবেনার সঙ্গেই রয়েছেন। দ্রুতই তাঁরা মুম্বই ফিরবেন। সাংবাদিকদের জানালেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।
ছাই হয়ে গিয়েও ফের উত্থানের ক্ষমতা রয়েছে শিবসেনার। হুঁশিয়ারি দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সঙ্কট যখন আরও ঘনীভূত হচ্ছে, তখনই রাজ্যের রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারির করোনা ধরা পড়ল। কোভিড পজিটিভ তিনি।
আজ মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমলনাথের উপস্থিতিতে কংগ্রেস আইনসভা দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় উপস্থিত থাকবেন ৪৩ জন বিধায়ক। কমলনাথ এবং অন্যান্য সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।
একনাথ শিন্ডে এবং অন্যান্য বিদ্রোহী বিধায়কদের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওটি অসমের একটি হোটেলের।
একনাথ শিন্ডের সঙ্গে গুয়াহাটিতে আসা মহা বিকাশ আঘাধির প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর কোনও অসন্তোষ নেই। শিবসেনার বিধায়করা জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস ও কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে চান না। আজ তক সংবাদদাতা ধনঞ্জয় সাবলের সঙ্গে ফোনালাপে বাচ্চু কাডু জানান, তিনিও গুয়াহাটিতে আছেন। কাডু বলেন, এখন ক্ষমতা পরিবর্তন হলেই তিনি ফিরবেন। কে জোর করে কাউকে নিয়ে আসেনি? তিনি বলেছিলেন যে শিব সৈনিক এবং স্বতন্ত্র বিধায়করা ক্ষমতার পরিবর্তন চান।
গুয়াহাটিতে পৌঁছে শিন্ডে বললেন, শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরাই বালসাহেবের হিন্দুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার মোট ৫৫ জন বিধায়ক রয়েছে। এমতাবস্থায়, শিন্ডে যদি ৪০ জন বিধায়ককে নিজের পক্ষে করেন, তবে তা ঠাকরের জন্য একটি ধাক্কা।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভূমিকম্প। একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের পর সংকটের মেঘ ঘোরাফেরা করছে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের ওপর। বিপদ শিবসেনার মধ্যেই। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত শিবসেনার বৈঠকে ৫৫ জনের মধ্যে মাত্র ২২ জন বিধায়ক পৌঁছেছিলেন। আজ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠক।