মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে বড় আপডেট। আগামী ৫ ডিসেম্বর সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। এরই মধ্যে খবর, মন্ত্রিসভার ২১ থেকে ২২ টি দফতর নিজেদের হাতে রাখবে গেরুয়া বিজেপি।
সূত্রের খবর, এই দফতরগুলির মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এছাড়াও স্পিকার করা হবে বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে। আরও কোন কোন দফতর বিজেপির হাতে যাবে তা নিয়ে পরে আলোচনা হবে। আপাতত স্বরাষ্ট্র দফতরের খবর সামনে এসেছে।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে নতুন সরকারে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পাবে ১১ থেকে ১২ দফতর। অজিত পাওয়ারের এনসিপির ১০ জনকে মন্ত্রী করা হবে বলে খবর। মন্ত্রিসভায় ১৬টি দফতরের দাবি করেছে শিন্ডে শিবির। তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
সূত্রের খবর, ৫ ডিসেম্বর শপথ নেবেন একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার। সেদিন মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে নতুন সরকারে বিজেপি তাদের হাতে স্বরাষ্ট্র ও রাজস্ব দফতর রাখতে চায়। সেই সঙ্গে স্পিকার ও বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান পদও যেতে পারে দলের খাতায়। এনসিপি পেতে পারে অর্থ দফতর। শিন্ডের শিবসেনা নগর উন্নয়ন দফতর পেতে পারে। এ ছাড়া অন্য দফতর নিয়ে পরে আলোচনা হবে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে নাগপুরে মহারাষ্ট্র বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে তিন মহাযুতি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার মুম্বাইয়ে একটি বৈঠক করবেন। কে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। শিন্ডে এখনও অসুস্থ। সেকারণে সভা স্থগিত রাখা হয়েছে।
তবে মহারাষ্ট্রে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে এখনও জল্পনা চলছে। বিজেপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, মহাযুতির সবচেয়ে বড় দল হওয়ায় বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস। অজিত পাওয়ারও সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে শিবসেনা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চায়। তাদের যুক্তি, এই শিন্ডেকে সামনে রেখেই এবার মহাযুতি এতগুলো আসন পেয়েছে সেই কারণে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।