Maharashtra Political Crisis: এনসিপির রাজনৈতিক যুদ্ধ গভীরতর হচ্ছে। এখন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী শরদ পাওয়ারকে এনসিপি'র জাতীয় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অজিত পাওয়ারকে নতুন জাতীয় সভাপতি করেছে। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে অজিত পাওয়ার বলেছিলেন যে শরদ পাওয়ার তাঁর দলের সভাপতি।
এখন শরদ পাওয়ারকে কটাক্ষ করে অজিত পাওয়ার বলেছেন যে সরকারি চাকরি হোক বা রাজনীতি, অবসর নেওয়ার একটা বয়স আছে। আপনারও অবশ্যই সেই পথে এগোন উচিত ও আশীর্বাদ করবেন। অজিত পাওয়ার বলেছেন যে আমাদের সিনিয়ররা বলেছেন যে ২০২৪ সালে কেবল নরেন্দ্র মোদীই ক্ষমতায় আসবেন। দেশে যখন মোদী ছাড়া বিকল্প নেই, তখন তাকে সমর্থন করতে সমস্যা কী?
সূত্রের খবর, ৩০ জুন এনসিপির ৪০ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠির সঙ্গে অজিত পাওয়ারকে এনসিপির সভাপতি করার তথ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। যা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পায় গত ৫ জুলাই।
শরদ পাওয়ার গ্রুপও পিটিশন দিয়েছে
সূত্রের খবর, ৩ জুলাই নির্বাচন কমিশন জয়ন্ত পাটিলের (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) থেকে একটি চিঠিও পায়। যেখানে বলা হয়েছিল যে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শপথ নেওয়া ৯ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার পদক্ষেপের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যদি অজিত পাওয়ারের দাবির ওপর শুনানি করে, তাহলে তাদের পক্ষ (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) না শুনে শুনানি করা উচিত নয়।
তিন দিন আগে কী বলেছিলেন অজিত পাওয়ার?
তিন দিন আগে রবিবার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জাতীয় সভাপতির প্রশ্নে অজিত পাওয়ার বলেন, আপনারা কি ভুলে গেছেন যে শরদ পাওয়ার দলের জাতীয় সভাপতি। মহারাষ্ট্রের উন্নতির জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করা হয়েছিল
এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল বলেছেনন যে আমরা তাকে (শারদ পাওয়ার) হাত জোড় করে অনুরোধ করছি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনিয়র নেতা ও কর্মীদের ইচ্ছাকে সম্মান করার জন্য। তাঁর আশীর্বাদ সর্বদা আমাদের এবং দলের উপর থাকুক।