Advertisement

Maharashtra school: পিরিয়ড হয়েছে? ক্লাস টেনের ছাত্রীদের ইউনিফর্ম খুলে পরীক্ষা, গ্রেফতার স্কুলের অধ্যক্ষ-সহ ২

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার শাহাপুর এলাকার এক বেসরকারি স্কুলে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা সামনে এসেছে। ছাত্রীদের ঋতুচক্র চলছে কি না, তা জানার জন্য তাদের জোর করে জামাকাপড় খুলিয়ে পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 10 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:52 PM IST
  • মহারাষ্ট্রের থানে জেলার শাহাপুর এলাকার এক বেসরকারি স্কুলে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা সামনে এসেছে।
  • ছাত্রীদের ঋতুচক্র চলছে কি না, তা জানার জন্য তাদের জোর করে জামাকাপড় খুলিয়ে পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার শাহাপুর এলাকার এক বেসরকারি স্কুলে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা সামনে এসেছে। ছাত্রীদের ঋতুচক্র চলছে কি না, তা জানার জন্য তাদের জোর করে জামাকাপড় খুলিয়ে পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে, যখন স্কুলের শৌচাগারে রক্তের দাগ দেখতে পান এক দারোয়ান। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির কিছু ছাত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে শৌচাগারে নিয়ে যায় এবং বাধ্যতামূলকভাবে জামাকাপড় খুলিয়ে ঋতুচক্রের প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করে।

কীভাবে ঘটনার পরত পরত সামনে এল?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে অধ্যক্ষ ছাত্রীদের একটি ঘরে ডেকে পাঠান এবং শৌচাগারে পাওয়া রক্তের দাগের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কার ঋতুচক্র চলছে। যারা সম্মতি জানায়, তাদের সাদা কাগজে আঙুলের ছাপ দিতে বলা হয়। যারা জানায় যে তারা ঋতুচক্রে নেই, তাদের একে একে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ, এই পুরো প্রক্রিয়া এক মহিলা শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে হয়।

ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। বুধবার একাধিক অভিভাবক এবং শিশু অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রতিনিধিরা স্কুলে হাজির হন এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

পুলিশি তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা
এক অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পকসো (POCSO) আইন অনুযায়ী স্কুলের অধ্যক্ষ ও আরও এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

থানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল জ়ালতে জানান, অভিভাবকদের ক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।

এক অভিভাবকের কথায়, 'মঙ্গলবার আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। বলল, ওকে সহপাঠীদের সামনে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা মানসিক হেনস্থা।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement