Advertisement

Sadhvi Pragya: 'যোগী-মোদীর নাম বলানোর চেষ্টা, কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র', বিস্ফোরক প্রজ্ঞা

২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় খালাস পাওয়ার পর, ভোপালে ফিরে উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনার মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর রবিবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। তাঁর দাবি, এই মামলাটি ছিল কংগ্রেসের সাজানো ষড়যন্ত্র এবং এর জন্য দলটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা উচিত।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 03 Aug 2025,
  • अपडेटेड 11:15 AM IST
  • ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় খালাস পাওয়ার পর, ভোপালে ফিরে উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনার মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর রবিবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন।
  • তাঁর দাবি, এই মামলাটি ছিল কংগ্রেসের সাজানো ষড়যন্ত্র এবং এর জন্য দলটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা উচিত।

২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় খালাস পাওয়ার পর, ভোপালে ফিরে উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনার মধ্যে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর রবিবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। তাঁর দাবি, এই মামলাটি ছিল কংগ্রেসের সাজানো ষড়যন্ত্র এবং এর জন্য দলটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা উচিত।

ভোপালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রজ্ঞা বলেন, 'এই রায় একটি থাপ্পড়, যারা ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ বলে একটি মিথ্যা আখ্যান গড়ার চেষ্টা করেছিল তাদের মুখে। কংগ্রেস বরাবরই তোষণের রাজনীতি করেছে, বিশেষ করে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে সন্তুষ্ট করার জন্য। হিন্দুদের উপর মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দিয়েছে, জেলে পুরেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কংগ্রেস 'গেরুয়া সন্ত্রাস' ও 'হিন্দুত্ব সন্ত্রাস' বলে যে ভাষা ব্যবহার করেছিল, তা দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। এটি কংগ্রেসের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল, যা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান।'

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালেগাঁও শহরে একটি মোটরসাইকেলে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইস ফেটে ৬ জন প্রাণ হারান এবং আহত হন প্রায় ১০০ জন। এই ঘটনায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। কিন্তু ১৭ বছর পর, মুম্বইয়ের একটি বিশেষ এনআইএ আদালত জানিয়ে দেয় যে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ করা যায়নি, ফলে সাতজনকেই খালাস দেওয়া হয়।

এই রায় প্রসঙ্গে সাধ্বী বলেন, 'সত্যের জয় হয়েছে। দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতকদের মুখ এখন কালো হয়ে গেছে। যারা ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ বলে দেশের মেরুদণ্ডে আঘাত করতে চেয়েছিল, তাদের আসল মুখ আজ জনতার সামনে এসেছে।'

নিজের অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রজ্ঞা বলেন, 'আমাকে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। আমাকে জোর করে নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের নাম বলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমি কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিইনি।'

উল্লেখ্য, আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির মাধ্যমে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করা সাধ্বী প্রজ্ঞা ২০১৯ সালে ভোপাল থেকে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে জিতে সংসদে যান।

Advertisement

এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেহেতু কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে এই মামলায় ‘হিন্দু সন্ত্রাস’-এর আখ্যান তুলে ধরেছিল। সাধ্বী প্রজ্ঞার বক্তব্যে সেই রাজনৈতিক বিতর্ক ফের চর্চায় উঠে এসেছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement