মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সমগ্র দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার ১০ ঘণ্টা পরেও মৃতের সংখ্যা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অভিযোগ, আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। মেলার প্রাঙ্গণে শুধুই হাহাকার আর আতঙ্কের ছবি।
মমতার প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে বলেন, "মহা কুম্ভে মর্মান্তিক পদদলিত হওয়ার বিষয়ে জানতে পেরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত, অন্তত ১৫ নিরপরাধের মৃত্যু হয়েছে। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা শোকাহত তীর্থযাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে। আমাদের গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমার শিক্ষা হল যে, বিশাল জনসমাবেশে তীর্থযাত্রীদের জীবন সংক্রান্ত বিষয়ে পরিকল্পনা এবং যত্ন সর্বাধিক হওয়া উচিত।"
বিরোধীদের আক্রমণ ও সরকারের জবাব
এই ভয়াবহ ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলগুলো। কংগ্রেস সরাসরি রাজ্য সরকারের দায়িত্বহীনতাকে দোষারোপ করে বলেছে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে এই বিপর্যয় ঘটেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, "সরকার শুধু আত্মপ্রচারেই ব্যস্ত ছিল, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।"
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, "ভিআইপিদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ তীর্থযাত্রীদের অবহেলা করাই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ।" তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ঘটনাস্থলে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, "বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনার দাবি করা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। সরকারকে এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে।"
নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা
এই দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে কেন এত বড় জনসমাবেশের আগে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়নি। তীর্থযাত্রীদের জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে না পারার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা বলছে, বড় বড় নেতাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছিল না।