২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর। তারপরই তিনি আবার তৃণমূলনেত্রী রূপে ফিরবেন। টুইট করে তিনি নিজের পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। এবার লক্ষ্য গোয়া।
২৮ অক্টোবর তিনি গোয়ায় যাবেন
২৮ অক্টোবর তিনি গোয়ায় যাবেন। সেখানে বিজেপি বর্জিত সরকার গঠনের জন্য বিরোধীদের উদ্দেশ্যে উপস্থিতি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে ১০ বছরে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। সেই জায়গা থেকে টুইটারে খোলা আহ্বানা জানিয়ে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার বার্তা দেন।
তিনি কি বলেছেন ?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৮ অক্টোবর আমার প্রথম গোয়া সফরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, আমি সমস্ত ব্যক্তি, সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে বিজেপি এবং তাদের বিভাজক কর্মসূচিকে পরাজিত করার জন্য শক্তিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই। গত ১০ বছরে গোয়ার জনগণ যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়েছে। একসঙ্গে, আমরা একটি নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে গোয়ার জন্য একটি নতুন ভোরের সূচনা করব। যা সত্যই গোয়ার জনগণের সরকার হবে এবং তাদের আকাঙ্খাগুলি উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে !
সমালোচনা শুরু
মমতার টুইটের পর অবশ্য কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগত ইস্যু তুলে ধরেছেন। যেমন মমতা পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের বিরুদ্ধে তুলে ধরেছিলেন। ফলে গোয়া যাত্রার পর তাঁকে সেখান বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ফলে যত সহজে বৈঠক করে তৃণমূলনেত্রী বিরোধী ঐক্য সামলাবেন বলে মনে করছিলেন, অত সহজ হবে না।
ত্রিপুরাতে পিছু হঠতে হয় তৃণমূলকে
এর আগে ত্রিপুরাতেও সংগঠন বিস্তার করতে গিয়ে তৃণমূলকে পিছু হঠতে হয়েছিল প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বিজেপি কর্মীরা তাঁদের বাধা দিয়েছে। মারধরও করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ ছিল, পশ্চিমবাংলা থেকে গিয়ে তৃণমূল সেখানে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। ফলে আগামী কয়েকদিনে দেশীয় রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেয় তা নজরে রাখতে হবে।