Advertisement

JDU Leader on Mamata: 'কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রেই মমতার প্রস্তাব', বিস্ফোরক নীতীশের দলের নেতা

INDIA ছেড়ে ফের NDA-তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহার তথা দেশের রাজনীতি এখন এই ঘটনা ঘিরেই সরগরম। এমন সময়েই বড়সড় দাবি তুললেন JDU(জনতা দল ইউনাইটেড)-এর সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। এই গোটা ঘটনার পিছনে 'কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র'কে দায়ী করলেন তিনি।

ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • পাটনা,
  • 28 Jan 2024,
  • अपडेटेड 4:50 PM IST
  • INDIA ছেড়ে ফের NDA-তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহার তথা দেশের রাজনীতি এখন এই ঘটনা ঘিরেই সরগরম।
  • এমন সময়েই বড়সড় দাবি তুললেন JDU(জনতা দল ইউনাইটেড)-এর সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী।
  • এই গোটা ঘটনার পিছনে 'কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র'কে দায়ী করলেন তিনি। সরাসরি দাবি তুললেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বাধ্য করেছিল কংগ্রেস।

INDIA ছেড়ে ফের NDA-তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহার তথা দেশের রাজনীতি এখন এই ঘটনা ঘিরেই সরগরম। এমন সময়েই বড়সড় দাবি তুললেন JDU(জনতা দল ইউনাইটেড)-এর সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। এই গোটা ঘটনার পিছনে 'কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র'কে দায়ী করলেন তিনি। সরাসরি দাবি তুললেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বাধ্য করেছিল কংগ্রেস। জোটের মুখ হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন JDU নেতা।

কেসি ত্যাগীর কথায়, 'নীতীশের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেস দায়ী। ওরা তাঁকে অপমান করেছে এবং জোট দখলের চেষ্টা করেছে।' 

কেসি ত্যাগী বলেন, 'মল্লিকার্জুন খাড়গে নীতীশ কুমারকে রাজনৈতিক সুবিধাবাদী বলছেন। আসলে, কংগ্রেসই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দখল করতে চেয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বর অশোকা হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য খাড়গের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।'

কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...
তিনি বলেন, 'আগে মুম্বইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে এই ইন্ডিয়া জোট কারও মুখ সামনে না রেখেই কাজ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেজরিওয়ালের বাসভবনে গিয়েছিলেন, তখনও তিনি বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন যে কারও নাম প্রস্তাব করা হবে না। কিন্তু পরে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের কারণে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর(মল্লিকার্জুন খাড়গে) নাম প্রস্তাব করেন।'

কেসি ত্যাগী আরও বলেন, 'সমস্ত অ-কংগ্রেস আঞ্চলিক দল, সেটা বিএসপি, এসপি, আরজেডি, জেডিইউ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বা শরদ পাওয়ারের দল, যারাই হোক না কেন, তারা সকলেই কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধিতা করেই তৈরি হয়েছে, রাজনীতিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।' তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। গত দুই নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার মতো ন্যূনতম সাংসদও দিতে পারেনি কংগ্রেস। তাই এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস তাদের উত্থানে বাধা সৃষ্টিকারী আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃত্বকে খতম করতে চাইছে।'

Advertisement

এর ব্যাখা হিসাবে JDU নেতা জানান,  হরিয়ানা, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও অসমে কোনও দলের সঙ্গে কংগ্রেস আসন বন্টনে যাচ্ছে না। সেখানে কংগ্রেস একাই লড়বে বলছে। এদিকে ইউপি, বাংলা, বিহার, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে আসন বন্টন করতে চাইছে। ইউপিতে কংগ্রেসের একটি আসন, বিহারে একটি আসন, পশ্চিমবঙ্গে ২টি আসন, মহারাষ্ট্রে একটি এবং তামিলনাড়তে দু'-তিনটি আসন রয়েছে। তিনি জানান এসকল রাজ্যে বেশি করে আসন দখল করতে চাইছে কংগ্রেস। এই আসন বন্টন অসামাঞ্জস্য ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নীতিশ কুমারের অবস্থান বদলে পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনায় নেমেছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গে নীতীশ কুমারকে 'আয়া রাম গয়া রাম'-এর নেতা বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, 'তিনি যেতে চাইলে যেতে দিতে হবে, আগেই দু'জনে এই বিষয়ে আমাদের জানিয়েছিলেন। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও লালু যাদব আগেই জানিয়েছিলেন। এটা আমরা আগেই জানতাম। এদেশে আয়া রাম গয়া রাম-এর অনেক নেতা আছেন।'

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement