Advertisement

Dalit girl in Rampur: উত্তরপ্রদেশে ফের ধর্ষণ, মূক ও বধির কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার মাঠে

উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনার তালিকায় নতুন সংযোজন। বারাণসী ও কাসগঞ্জের নৃশংস ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রামপুর জেলায় বছর এগারোর এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে মাঠে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে ওই কিশোরীকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 17 Apr 2025,
  • अपडेटेड 12:45 PM IST
  • উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনার তালিকায় নতুন সংযোজন।
  • বারাণসী ও কাসগঞ্জের নৃশংস ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রামপুর জেলায় বছর এগারোর এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে মাঠে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনার তালিকায় নতুন সংযোজন। বারাণসী ও কাসগঞ্জের নৃশংস ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রামপুর জেলায় বছর এগারোর এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে মাঠে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে ওই কিশোরীকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা তাকে প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেরঠ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসক অঞ্জু সিংহ জানিয়েছেন, “এই মেয়েটির যৌনাঙ্গে গুরুতর আঘাত রয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। তার মুখের আঘাতও ভয়াবহ। এই রকম ঘটনা আমি আগে কখনও দেখিনি।”

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে অভিযুক্ত, গ্রেফতারের সময় গুলি বিনিময়
ঘটনার তদন্তে নেমে পকসো আইনে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এক যুবককে চিহ্নিত করে। দেখা যায়, সে মেয়েটির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছে এবং পরে তাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। গ্রেফতার করতে গেলে অভিযুক্ত যুবক পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে তার পায়ে গুলি লাগে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। রামপুরের পুলিশ সুপার বিদ্যাসাগর মিশ্র জানিয়েছেন, কিশোরীর মা অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়ে কথা বলতে পারে না এবং কানেও শোনে না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্ত তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মধ্যেই ফের ভয়ঙ্কর অপরাধ
উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল বারাণসীর ধর্ষণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন। এবার রামপুরে ফের একটি শিশু, তাও প্রতিবন্ধী কন্যা, ভয়াবহ অত্যাচারের শিকার হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং সরকারের প্রতিশ্রুত ‘নারী সুরক্ষা’র বাস্তবতা নিয়ে। একের পর এক ঘটনায় যখন উত্তাল দেশ, তখন আদৌ কি এই নির্ভরতা দেওয়া সম্ভব যে, নারী ও শিশুরা উত্তরপ্রদেশে নিরাপদ?

Advertisement

সমাজ ও প্রশাসনের সামনে কঠিন প্রশ্ন
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন মানবাধিকার সংগঠন ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের প্রশ্ন, একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ অপরাধীদের রোখার বা নির্ভরযোগ্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কার্যত নেই। শুধুমাত্র পুলিশি হেফাজত বা কঠোর শাস্তি নয়, সমাজিক সচেতনতা এবং প্রশাসনিক সক্রিয়তা ছাড়া এই নির্মমতা বন্ধ হবে না।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement