উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল আরও একটি মানুষখেকো নেকড়ে। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। মঙ্গলবার ভোরে বন বিভাগের ফাঁদে পঞ্চম নেকড়েটি ধরা পড়ে। এর আগে ধরা পড়েছিল আরও চারটি নেকড়ে। গ্রামবাসীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক রয়েছে। নেকড়েদের ৬ সদস্যের দলের এখনও একটি নেকড়ে ধরা পড়েনি।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে বহরাইচে নেকড়ের আক্রমণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই আক্রমণে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯ জন শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩৬ জনের বেশি মানুষ। এলাকার ৩৫টি গ্রাম উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। স্থানীয়রা রাতের বেলায় পাহারার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, লাঠি হাতে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন, কিন্তু তাতেও নেকড়ের আক্রমণ থামছে না।
নেকড়ের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার এটিকে ‘বন্যপ্রাণী বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বন দফতর নেকড়েগুলোকে ধরতে ‘অপারেশন ভেদিয়া’ নামে একটি বিশাল অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। এছাড়াও, স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নেকড়েগুলো একটি দল হিসেবে কাজ করছিল, যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিরল। সাধারণত নেকড়ে খুবই সতর্ক এবং মানুষকে এড়িয়ে চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত গ্রামবাসীদের দ্বারা নেকড়ের বাচ্চা হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তারা মানুষ আক্রমণ করছে।
মঙ্গলবার ধরা পড়া নেকড়েটি ঘাঘরা নদীর কাছে হরবক্ষ পুরওয়া গ্রামে বন দফতরের পাতা ফাঁদে আটকায়। এখনও বাহরাইচের গ্রামগুলিতে আতঙ্কের ছায়া কাটেনি, কারণ নেকড়েদের দলের শেষ সদস্যটি এখনও ধরা পড়েনি।