Advertisement

UP Deoria Murder: কাকিমা-ভাইপোর পরকীয়া, দুবাই থেকে ফিরেই খুন কাকা, ভরা হল ট্রলি ব্যাগে

আবারও উত্তরপ্রদেশ। আবারও প্রেমঘটিত বিবাদের জেরে স্বামী খুনের অভিযোগ। তবে এবার খুনের নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল আগের সব ঘটনা। দুবাই থেকে দেশে ফেরা এক ব্যক্তিকে প্রথমে কুপিয়ে খুন করা হয়, তারপর তাঁর দেহ ভরে রাখা হয় একটি ট্রলি ব্যাগে। অভিযোগের তির নিহতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক ভাইপোর দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়, যার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 22 Apr 2025,
  • अपडेटेड 12:40 PM IST
  • দুবাই থেকে দেশে ফেরা এক ব্যক্তিকে প্রথমে কুপিয়ে খুন করা হয়, তারপর তাঁর দেহ ভরে রাখা হয় একটি ট্রলি ব্যাগে।
  • অভিযোগের তির নিহতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক ভাইপোর দিকে।

আবারও উত্তরপ্রদেশ। আবারও প্রেমঘটিত বিবাদের জেরে স্বামী খুনের অভিযোগ। তবে এবার খুনের নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল আগের সব ঘটনা। দুবাই থেকে দেশে ফেরা এক ব্যক্তিকে প্রথমে কুপিয়ে খুন করা হয়, তারপর তাঁর দেহ ভরে রাখা হয় একটি ট্রলি ব্যাগে। অভিযোগের তির নিহতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক ভাইপোর দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়, যার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম নওশাদ আহমেদ। বয়স ৩৮। তিনি উত্তরপ্রদেশের ভাটৌলি গ্রামের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন দুবাইয়ে, পেশায় ছিলেন গাড়িচালক। মাত্র দশদিন আগেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।

তদন্তে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল নওশাদকে খুন করা হয়। তার পরদিন, ২০ এপ্রিল সকালে, এক কৃষক তার জমিতে একটি পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ব্যাগ খুলে দেখতে পায়, তাতে গুমড়ে রাখা নওশাদের দেহ। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। ব্যাগ থেকে পাওয়া এয়ারলাইন ব্যাগেজ ট্যাগ ও পাসপোর্ট দেখে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

কে বা কারা জড়িত?
প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশ জানতে পারে নওশাদের স্ত্রী রাজিয়া-র সঙ্গে তাঁর ভাইপো রুমান-এর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। নওশাদের দেশে ফেরার পর তাঁদের এই সম্পর্ক বিপদের মুখে পড়ে যায়। তখনই পরিকল্পনা হয় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার। অভিযোগ, রাজিয়া এবং রুমান মিলে নওশাদকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তাঁর দেহ ওই ট্রলি ব্যাগে ভরে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ভাইপো রুমান পলাতক। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে।

আরও মিল একাধিক খুনের সঙ্গে
এই ঘটনার সঙ্গে কিছুদিন আগের উত্তরপ্রদেশের আরও দুটি হত্যাকাণ্ডের মিল পাওয়া যাচ্ছে। মিরাটে সৌরভ রাজপুত নামের এক ব্যক্তিকে খুন করেন তাঁর স্ত্রী মুসকান ও প্রেমিক সাহিল। দেহ লোপাটের জন্য রাখা হয় ড্রামের ভিতর। একই ভাবে, আকবরপুর সাদতের অমিত কাশ্যপকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্ত্রী রবিতা ও তাঁর প্রেমিক।

Advertisement

সামাজিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘটনা
একটার পর একটা এমন ঘটনা সামনে আসায় সামাজিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে। দাম্পত্য জীবনের ভাঙন, বিশ্বাসঘাতকতা এবং সম্পর্কের জটিলতা যে কী ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, তারই নজির হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই সমস্ত ঘটনা।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement