প্লেস অফ ওয়র্শিপ আইন (১৯৯১)-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত মন্দির ও মসজিদ সংক্রান্ত নতুন কোনও মামলা নথিভুক্ত করা যাবে না। নির্দেশ দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।
বুধবার প্লেস অফ ওয়র্শিপ আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি হয়। সেই মামলার শুনানিতে CJI জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মন্দির-মসজিদ সম্পর্কিত নতুন কোনও মামলা নথিভুক্ত করা হবে না। সব পক্ষের যুক্তি প্রস্তুত রাখা উচিত।
আদালতে CJI বলেন, 'একটি জিনিস পরিষ্কার করতে বলতে চাই, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নতুন কোনও আবেদন করা যাবে না।' আদালত সব পক্ষকে তাদের যুক্তি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রাখতে বলেছে যাতে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। উপাসনার স্থান বা প্লেস অফ ওয়র্শিপ আইন উপাসনা স্থানের মর্যাদা রক্ষা করে। কোনওরকম পরিবর্তনও নিষিদ্ধ করে। তবে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ককে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছিল। প্লেস অফ ওয়র্শিপ অ্যাক্ট ১৯৯১-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ মামলার আজ শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বিশেষ বেঞ্চে।
শুনানির সময় কী যুক্তি পেশ করা হয়েছিল:
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ: সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বলেন, সরকার একটি হলফনামা দায়ের করবে। CJI কেন্দ্রকে তার উত্তর দাখিল করতে এবং আবেদনকারীদের কাছে তার অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
CJI এর মন্তব্য: CJI বলেন, এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে না কারণ এটি এখনও বিচারাধীন। এই বিষয়ে নতুন করে কোনও মামলা করা হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট জানান। CJI বলেন, অনেক প্রশ্ন উঠেছে, যেগুলো আদালত শুনবে।
আবেদনকারীদের যুক্তি: সিনিয়র আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রন বলেন, বিভিন্ন আদালতে মোট ১০ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এগুলির পরবর্তী শুনানি স্থগিত করা উচিত।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা: কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবির বিরোধিতা করে। তুষার মেহতা বলেন, কোনও প্রাইভেট পার্টি কীভাবে মামলায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানাতে পারে পারে?
মুসলিম পক্ষের যুক্তি: মুসলিম পক্ষ জানিয়েছে, সারাদেশে ১০টি স্থানে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি অনুরোধ করেন, পূজার স্থান আইনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সমস্ত মামলার শুনানি স্থগিত রাখা উচিত।
মূল মুলতুবি মামলা: সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে মথুরা মামলা এবং অন্যান্য দুটি মামলা ইতিমধ্যেই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।