ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা। রাজভবনে সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেবের পদত্যাগের পর মানিককে বেছে নেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সন্ত্রাসের অভিযোগে মানিক সাহার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বামেরা। জল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত রাজভবনের অনুষ্ঠানে হাজির হন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে ছিলেন সদ্য প্রাক্তন বিপ্লব দেব।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে মানিক সাহার। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। ২০২০ সালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন এই দাঁতের ডাক্তার। শপথগ্রহণের পর মানিক বলেন,'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শনে ত্রিপুরার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়াই লক্ষ্য আমাদের।' সরকারের উপর কোনও সংকট নেই বলেও দাবি করেন মানিক। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়,'নতুন যাঁকে আনা হল তাঁকে নিয়েও তো বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুখ বদলে তো আর দলের নীতি বদলানো যাবে না। বিজেপির একটা বড় অংশ বিপ্লব দেবকে চায় না। আর একটা অংশ মানিক সাহাকেও পছন্দ করছে না। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা আরও ইতিবাচক হতে চলেছে।'
শনিবার বিকেলে আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। শুক্রবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ফিরে গিয়েই পদত্যাগ করেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত বলে স্পষ্ট করেন বিপ্লব। তিনি বলেছিলেন,'২০২৩-এর নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে চাইছে দল। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। আমাকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চাইছে দল। এত দিন প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে কাজ করে এসেছি। ত্রিপুরায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছায় এবার সংগঠনের কাজ করব।'
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিপ্লবকে দিল্লি ডেকে পাঠায় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। দুই বৈঠকে তাঁকে ইস্তফা দিয়ে সংগঠনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো ভোটের ১০ মাস আগেই পদত্যাগ করেন বিপ্লব।