Manipur Violence: মণিপুরে অশান্তি অব্যাহত। ইম্ফলে বৃহস্পতিবার রাতে হাজারখানেক ক্ষুব্ধ জনতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর.কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সংবাদসংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী জানান, "আমি হতবাক। মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে"। নিরাপত্তা রক্ষী এবং দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মণিপুরের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং ইম্ফল শহরের কেন্দ্রস্থলে বিপুল সংখ্যক জনতা দু'টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে বুধবার, ইম্ফল পশ্চিম জেলার ল্যামফেল এলাকায় মণিপুরের মন্ত্রী নেমচা কিপগেনের অফিসিয়াল কোয়ার্টারে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এই নিয়ে দু'বার কোনও মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
জাতিগত বিবাদে মণিপুরের খামেনলোক এলাকার একটি গ্রামে সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তদের হামলায় নয়জন নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হওয়ার একদিন পর ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে, রাত ১টার দিকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ইম্ফল পূর্ব জেলা এবং কাংপোকি জেলার সীমান্তবর্তী খামেনলোক এলাকার কুকি গ্রাম ঘিরে ফেলে এবং আক্রমণ শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে। বন্দুকের গুলির লড়াইয়ে উভয় পক্ষই হতাহত ও আহত হয়।
এলাকাটি মেইতি-অধ্যুষিত ইম্ফল পূর্ব জেলা এবং উপজাতি-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাংপোকপি জেলার সীমানা বরাবর অবস্থিত।
মণিপুর হিংসা
এক মাস আগে মণিপুরে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ৩১০ জন আহত হয়। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনা ও আধা-সামরিক কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।