বুধবার সন্ধ্যার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। একদিনে রেকর্ড বৃষ্টি হল রাজধানীতে। ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে নয়া দিল্লিতে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি বিপর্যয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুগ্রামে ৩ জন এবং গ্রেটার নয়ডা এলাকায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে বিঘ্নিত বিমান পরিষেবাও। দিল্লিগামী ১০ বিমানকে অন্য পথে ঘোরানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি বিমানকে জয়পুরে ঘোরানো হয়েছে। ২টি বিমানকে লখনউয়ে ঘোরানো হয়েছে। রাস্তায় জল জমার কারণে ব্যাহত যান চলাচলও।
বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী।
এর মধ্যে মৌসম ভবন দিল্লিতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। আগামী ৫ অগস্ট পর্যন্ত দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সফদরজংয়ে ৭৯.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ময়ূরবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ ১১৯ মিমি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃষ্টি হয়েছে ৭৭.৫ মিমি।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও দুর্যোগের ঘনঘটা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার হুগলি জেলার কোনও কোনও এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার বাকি জেলায় বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আজ জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং-সহ বাকি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।