এই প্রথম সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানাল নকশালরা। শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে হাতিয়ার ছেড়ে বৈঠকে বসতে রাজি তারা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ এবং নকশালবাদ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার আগেই এবার হাতিয়ার ছেড়ে শান্তির পথে হাঁটার প্রস্তাব নিয়ে হাজির মাওবাদী ও নকশালবাদীরা।
মাওবাদীদের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি ইস্যু করা হয়েছে এই মর্মে। জানানো হয়েছে, আপাতত তারা সশস্ত্র আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে চাইছে। বদলে শান্তির পথে হাঁটার প্রচেষ্টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে ইচ্ছুক। জানা গিয়েছে, গত ১৫ অগাস্টই সরকারকে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মাওবাদীরা।
জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট লেখা চিঠিতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, একমাস ধরে এই সংঘর্ষবিরতি জারি রাখার আর্জি জানিয়েছিল মাওবাদীরা। তারপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাতে চায় তারা। মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক অভয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। তবে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে মাওবাদীদের এই চিঠির কোনও জবাব এখনও দেওয়া হয়নি বলেই খবর।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নিরাপত্তা বাহিনী কাউন্টার অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাওবাদী শীর্ষনেতারা নিকেশ হয়েছে।
অনুমন করা হচ্ছে, একের পর এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যুর পর নকশালদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। তারা এখন বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে। আশঙ্কার আবহও মাওবাদীদের মধ্যে। আর সে কারণেই তাদের পক্ষ থেকে বারবার সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানানো হচ্ছে।
পরিসংখ্যাবন বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত নকশাল বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী উল্লেখ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই সময়ের মধ্যে ৪৫৩ জন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬১৬ জনকে। সর্বোপরি আত্মসমর্পণ করেছে ১৬৬৬ জন। কেবলমাত্র ছত্তিশগড়েই ৬৫টি নতুন সুরক্ষা ক্যাম্প খোলা হয়েছে।