ভারতীয় সেনার 'অপারেশন সিঁদুর'-এ নির্বংশ মাসুদ আজহার! গত ৭ মে, রাত ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। সেই হামলায় নিকেশ হয় মুদাস্সর খাদিয়ান খাস, হাফিজ মহম্মদ জামিল, মহম্মদ ইউসুফ আজহার, খালিদ (আবু আকাসা) এবং মহম্মদ হাসান খান। উল্লেখ্য, মহম্মদ জামিল এবং ইউসুফ আজহার সম্পর্কে কুখ্যাত জঙ্গি নেতা মৌলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক। এদিকে, ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানে গুরুতর জখম হয়েছিল মাসুদ আজহারের ভাই রউফ। তারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে, নিকেশ জঙ্গি খাদিয়ান খাস মুরিদকে এলাকার মার্কাজ তৈবার দায়িত্বে ছিল। যা লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিচিত ছিল। তাকে গার্ড অফ অনার দিয়েছিল পাক সেনা। সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়াম নাওয়াজ তাকে এই সম্মানে সম্মানীত করেছিলেন। এই খাদিয়ান খাসের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিল হাফিজ আবদুল রউফ। সরকারি স্কুলের মধ্যে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্মরত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অফ পাকিস্তান আর্মি এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
কান্দাহার IC-814 বিমান হাইজ্যাকের ঘটনায় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ছিল মাসুদের শ্যালক ইউসুফ আজহার। অপর শ্যালক হাফিজ মহম্মদ জামিল জইশ-ই-মহম্মদে নিয়োগ করতেন যুব সদস্যদের। আবার হাসান খান ছিল মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির ছেলে। যে ছিল পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার।
পাকিস্তানের বাহওয়ালপুরে ভারতীয় স্ট্রাইকে জখম হয়েছিল মাসুদের ভাই। জঙ্গি দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবেই পরিচিত ছিল রউফ। মাসুদের ভাইকে পাকিস্তানের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আগেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের দাবি করেছিল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত তাঁর পরিবারের দশ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সে বলেছিল, 'আমার পরিবারের ১০ সদস্যের একসঙ্গে সুখপ্রাপ্তি হয়েছে। পাঁচ নিরাপরাধ শিশু ছিল। আমার দিদি, ওর স্বামী, আমার ভাগ্নে, তার স্ত্রী, আমার প্রিয় ভাগ্নীও ছিল। আমার সহযোগী হুজাইফা, ওর মা, আরও দু'জন ছিল ওখানে। তবে কোনও আফশোস বা হতাশা নেই। বরং আমার বারবার একটি কথাই মনে হচ্ছে, ওদের সঙ্গে সুখের কাফিলায় আমিও শামিল হতে পারতাম। ওদের যাওয়ার সময় হয়েছিল। কিন্তু উপরওয়ালা ওদের হত্যা করেননি।'