শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভের সময় ভাঙচুর, পাথর ছোঁড়া এবং পুলিশের ওপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১,৭০০ অজ্ঞাত এবং কয়েকজনের নাম উল্লেখিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০টি এফআইআর দায়ের করেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'গতকাল বরেলির একজন মৌলানা ভুলে গেছেন যে রাজ্যের ক্ষমতায় কে আছেন। আমরা তাঁকে স্পষ্ট করে দিয়েছি, এবং যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দাঙ্গা করার আগে দুবার ভাবতে বাধ্য করবে।' তিনি আরও বলেন, '২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু এখন রাজ্যে কারফিউ বা অবরোধের প্রয়োজন হয়নি। উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের গল্প এখান থেকেই শুরু হয়েছে।'
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের (আইএমসি) প্রধান মাওলানা তৌকির রাজাকে পুলিশ আটক করেছে। প্রথমে তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল, পরে গভীর রাতে ফাইক এনক্লেভ থেকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে। পুলিশ তার এবং তাঁর সমর্থকদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করছে। এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারের ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হিংসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার স্পষ্ট করেছে যে, কেউই শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দাঙ্গা বা হিংসার জন্য কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না।