দীর্ঘ ৭ বছর পর চিন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক। সময়টাও তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী কথা হল মোদী ও জিনপিংয়ের?
সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানালেন, বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই জোর দিয়েছেন ভারত ও চিনের উন্নয়নের উপর। আর এই প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং পরস্পরের অংশীদার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পারস্পরিক মতবিরোধ কখনও সংঘাতে পরিণত হওয়া উচিত হয় বলেও ঐকমত্য হয়েছেন তাঁরা।
মিস্রি আরও জানান, দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চারটি পরামর্শ দিয়েছেন শি জিনপিং। তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি স্পষ্ট জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। দুই নেতা পারস্পরিক উন্নয়ন, বাণিজ্য ভারসাম্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা একমত, ভারত ও চিনকে সমৃদ্ধশালী এশিয়া গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের উপর জোর
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়েও সম্মতি হয়েছে ভারত ও চিনের। মিস্রি জানান, দুই নেতাই মনে করেন, বিশ্ব বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনার জন্য দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজতর করা এবং নীতিগত স্বচ্ছতা বাড়ানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে মোদী ও জিনপিংয়ের বৈঠকে।