Advertisement

Meghalaya: মেঘালয় থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা ভেসে বাংলাদেশে, মন্ত্রী বলছেন, 'বর্ষার দোষ'

মেঘালয়ের দুটি কয়লাখনি থেকে প্রায় ৪০০০ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হইচই পড়েছে রাজ্যে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে, আর তার মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী কিরমেন শিলা একটি অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করে বিতর্ক উসকে দিলেন। তাঁর দাবি, 'বৃষ্টির তোড়ে কয়লা ধুয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে!'

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 29 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:18 PM IST
  • মেঘালয়ের দুটি কয়লাখনি থেকে প্রায় ৪০০০ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হইচই পড়েছে রাজ্যে।
  • হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে, আর তার মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী কিরমেন শিলা একটি অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করে বিতর্ক উসকে দিলেন।

মেঘালয়ের দুটি কয়লাখনি থেকে প্রায় ৪০০০ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হইচই পড়েছে রাজ্যে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলছে, আর তার মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী কিরমেন শিলা একটি অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করে বিতর্ক উসকে দিলেন। তাঁর দাবি, 'বৃষ্টির তোড়ে কয়লা ধুয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে!'

কোথা থেকে গায়েব এত কয়লা?
এই কয়লা নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে রাজাজু ও দিয়েংনাং গ্রামের কয়লাখনি থেকে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিপি কাটাকের নেতৃত্বাধীন একটি নিরীক্ষা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দিয়েংনাংয়ে মজুত থাকা ১৮৩৯.০৩ মেট্রিক টন কয়লা-র মধ্যে কেবল ২.৫ মেট্রিক টন এর হদিশ মিলেছে। একইভাবে রাজ্যব্যাপী থাকা ২১২১.৬২ মেট্রিক টনের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৮ মেট্রিক টন। বাকি কয়লার হিসেব নেই।

মন্ত্রীর অজুহাত: 'ভেসে গিয়েছে'
এই নিয়েই মেঘালয় হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কঠোর ভাষায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ঠিক তখনই সংবাদমাধ্যমে কিরমেন শিলার দাবি, 'মেঘালয়ে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। সেই বর্ষার জলে কয়লা ভেসে গিয়ে অসম ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পৌঁছে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।'

তিনি বলেন, 'বন্যার জল সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই জলেই কয়লা ভেসে যেতে পারে। পাচারের কোনও প্রমাণ মেলেনি। যদি সত্যিই কিছু হয়ে থাকে, তা প্রমাণসাপেক্ষ।'

পাচার না প্রকৃতিক বিপর্যয়?
মন্ত্রীর এই বক্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, কয়লার মতো ভারী খনিজ এমনভাবে জলে ভেসে গিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করা প্রায় অসম্ভব। অভিযোগ উঠছে, এর আড়ালে বেআইনি কয়লা পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে, যা ধামাচাপা দিতে এমন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement