
তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্বল্পবসনা তরুণীদের নাচ দেখে করতালি ও প্রশংসা করতে দেখা গেছে রাজ্যের মন্ত্রী এস. পেরিয়াকারুপানকে। সেই ভিডিও ছড়াতেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সমালোচকদের অভিযোগ, একজন জনপ্রতিনিধির পক্ষে এমন ‘অশ্লীল’ নাচে উচ্ছ্বাস দেখানো শোভনীয় নয়। কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, মন্ত্রীই নৃত্যশিল্পীদের মঞ্চ থেকে নেমে এসে তাঁর কাছাকাছি নাচতে ইঙ্গিত দেন।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলা স্তরের ডিএমকে নেতাদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসে আছেন মন্ত্রী। মঞ্চে নৃত্যশিল্পীরা নাচছেন, আর তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে হাততালি দিচ্ছেন। পরক্ষণেই ইশারায় ডেকে আনছেন শিল্পীদের।
এই ঘটনার পর অসদাচরণ ও নৈতিকতার প্রশ্নে ঝড় উঠেছে রাজনীতিতে। তামিলনাড়ু বিজেপি এই ঘটনাকে 'গুরুতর অপমান' বলে মন্তব্য করেছে। তাদের প্রশ্ন, 'তামিলনাড়ুর মহিলারা কীভাবে অভিযোগ জানাবেন, যখন তাদেরই নেতারা আধা-নগ্ন পোশাকে শিল্পীদের ডেকে এনে নিজের সামনে নাচাতে উৎসাহ দেন?'
এআইএডিএমকের পক্ষ থেকেও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। দলের নেতা পশুপতি সেন্থিল বলেন, 'জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ জনসমক্ষে শালীনতার সংকট তৈরি করছে। দিনের আলোয় ঘটনা ঘটেছে বলেই রক্ষা, অন্যথায় কী হতে পারত ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।'
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ আরও প্রকট হয়েছে। X-এর বহু ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন ডিএমকের নৈতিকতা ও সংস্কৃতি নিয়ে। একজন লিখেছেন, 'এটাই কি ডিএমকের নারীবাদ ও নৈতিক মূল্যবোধ?' অন্যজনের মন্তব্য, 'নোংরা কাজ। এটা কি তামিল সংস্কৃতি?'
কেউ কেউ আবার মন্ত্রীর একটি পুরনো ‘আপত্তিকর’ ভিডিওও সামনে এনে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন।
ডিএমকের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও বিরোধীরা নেতৃত্বের কাছে জানতে চাইছে, এমন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল, এবং এর নেপথ্যের উদ্দেশ্য কী?