Narendra Modi Threats Pakistan: গুজরাটের ভূজে এক ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক জোরালো ভাষণে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন। তিনি বললেন, “ভারত পর্যটনে বিশ্বাস করে, কারণ পর্যটন মানুষকে সংযুক্ত করে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বকে মজবুত করে। আর পাকিস্তান? তারা সন্ত্রাসবাদকে পর্যটন ভাবছে, যা গোটা বিশ্বের জন্য এক মারাত্মক হুমকি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “অপারেশন সিন্দুর সন্ত্রাসবাদের অবসানের এক গুরুত্বপূর্ণ মিশন।” কচ্ছের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বললেন, “আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা পাকিস্তান দিয়ে বক্তৃতা শুরু ও শেষ করতেন। কিন্তু ২০০১ সালে আমি স্থির করি, পাকিস্তান নিয়ে সময় নষ্ট করব না। বরং এমন এক কচ্ছ গড়ব, যার উন্নয়ন দেখে শত্রুরাও ঈর্ষান্বিত হবে।”
পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
“পাকিস্তানের শিশুরা যেন বোঝে, তাদের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। পাকিস্তানের জনগণ ও যুবসমাজের উচিত দেশকে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসা।”
এরপরই সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে থাকো, রুটি খাও, নাহলে আমার গুলি আছে।”
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। যে আমাদের রক্ত ঝরাবে, তাকেই তার ভাষায় জবাব দেওয়া হবে। ভারতকে চোখ রাঙালে তার মূল্য দিতে হবে।” ২২ মে’র পর পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায়, সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী শত শত কিমি দূরে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পাকিস্তানি বিমানঘাঁটি এখনো আইসিইউতে পড়ে আছে।”
তিনি কচ্ছের মাটি থেকেই পাকিস্তানিদের মোদীর বার্তা
“যদি সন্ত্রাসবাদ ছাড়া না হয়, তবে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে।” ভারতের তরফ থেকে এটি ছিল স্পষ্ট ও কড়া বার্তা – শান্তি চাইলে সন্ত্রাস ছাড়তে হবে, নচেৎ ভারতের জবাব প্রস্তুত।