Advertisement

Mohan Bhagwat: মুসলিম, খ্রিস্টানরাও RSS-এ যোগ দিতে পারেন, কোন শর্তে? জানালেন ভাগবত

মুসলিম, খ্রিস্টানের মতো ভিন ধর্মের মানুষ কি RSS-এ যোগদান করতে পারবেন? প্রশ্ন করা হয়েছিল মোহন ভাগবতকে। তিনি জানান, ভিন ধর্মের মানুষও সঙ্ঘে যোগদান করতে পারবেন, তবে তাদের মানতে হবে একটি শর্ত। কী সেটি?

Aajtak Bangla
  • নাগপুর ,
  • 10 Nov 2025,
  • अपडेटेड 8:43 AM IST
  • মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও RSS করতে পারবেন
  • মানতে হবে ১টি শর্ত
  • কোন শর্তের কথা জানালেন ভাগবত?

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত রবিবার ঘোষণা করেছেন, মুসলিম ও খ্রিস্টান সহ সমস্ত ধর্মের মানুষ তাঁদের সংগঠনের যোগ দিতে পারবেন। তবে রয়েছে একটি বিশেষ শর্ত। কী সেটি? 

মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, একত্রিত হিন্দু সোসাইটির সদস্য হতে হবে তবেই RSS-এ যোগদান করার সুযোগ মিলবে। মুসলিমদের কি RSS করার সুযোগ দেওয়া হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে মোহন ভাগবত বলেন, 'সঙ্ঘে কোনও ব্রাহ্মণের যোগদানের অনুমতি নেই। কোনও অন্য জাতের মানুষেরও যোগদান করার অনুমতি নেই। কোনও মুসলিমেরও নেই, খ্রিস্টানেরও নেই। শুধুমাত্র হিন্দুরাই সঙ্ঘে যোগদান করতে পারবেন।' এরপরই নিজের মন্তব্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে সঙ্ঘ প্রধান বলেন, 'সমস্ত বিশ্বাসের, ধর্মের মানুষই যোগ দিতে পারেন যদি তারা ভারত মাতার সন্তান হন। ফলে মুসলিম, খ্রিস্টান বা কোনও কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষকে RSS-এ যোগ দিতে হলে নিজ নিজ বিশ্বাসকে দূরে সরিয়ে রেখে আসতে হবে। আপনাদের বিশেষত্বকে আমরা স্বাগত জানাব তবে সঙ্ঘে প্রবেশ করলে আপনাকে ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আসতে হবে। আপনাকে হতে হবে হিন্দু সোসাইটির সদস্য।'

প্রতিদিন শাখা সদস্যদের প্রশ্ন করা হয় না তাঁরা কে কোন ধর্মের। এমনটাই জানিয়েছেন মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, 'মুসলিমরাও সঙ্ঘে আসেন। খ্রিস্টানরাও আসেন। তবে আমরা তাদের গুনি না। জিজ্ঞাসাও করি না তারা কারা। আমরা সকলেই ভারত মাতার সন্তান। এভাবেই সঙ্ঘ কাজ করে।'

RSS-এর একটি প্রশ্ন উত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিন ধর্মের কাউকে সঙ্ঘে আসার অনুমতি দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন মোহন ভাগবত। 

এদিকে, দেশের জন্য কাজ করার দাবি সত্ত্বেও কেন RSS রেজিস্টার্ড সংগঠন নয়, প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রিয়ঙ্ক খাড়গে। কংগ্রেস নেতাকে জবাব দিলেন মোহন ভাগবত। রবিবার RSS প্রধান বলেন, '১৯২৫ সালে সঙ্ঘের পথচলা শুরু হয়েছিল। তখন ভারত স্বাধীনও হয়নি। তখন কি তবে ব্রিটিশ সরকারের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করাতাম?' তিনি আরও বলেন, 'আপনি কী বলতে চাইছেন, ব্রিটিশ সরকারের আওতায় সঙ্ঘের রেজিস্ট্রেশন করানো উচিত ছিল? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ছিল না। দেশের আইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও সংগঠন চিহ্নিত করত। আমরা কর দিই। ৩ বার এ দেশেই নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছি। আদালতের হস্তক্ষেপে প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। ফলে আমাদের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন পড়ে না।' এরপরই তাঁর সংযোজন, 'অনেক কিছুরই রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকী হিন্দু ধর্মও রেজিস্টার্ড নয়।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement