সূর্যের গনগনে আঁচ শরীরে যেন জ্বালা ধরাচ্ছে। অসহ্য গরমে মানুষ নাজেহাল। উত্তরভারতে বৃষ্টির পর্ব থেকে গিয়েছে। কেরলে বর্ষার প্রবেশের অপেক্ষা। এর আগে বলা হয়েছিল ৪ জুন কেরলে ঢুকতে পারে বর্ষা। যদিও এখন জানা যাচ্ছে বর্ষার কেরলে প্রবেশ করতে আরও ৩-৪ দিন সময় লাগবে। এরই মাঝে বেশকিছু রাজ্যে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। আপাতত শুষ্কই থাকবে পশ্চিমবঙ্গ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থা স্কাইমেটের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে গেছে। আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আজ রাত থেকে পশ্চিম হিমালয়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান এবং সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। আরও একটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ ছত্তিশগড় এবং সংলগ্ন তেলেঙ্গানার নিম্ন স্তরে অবস্থান করছে। একটি উত্তর-দক্ষিণ নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ড জুড়ে উত্তর বিহার থেকে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় এলাকা পর্যন্ত প্রসারিত হচ্ছে। এই কারণে বর্তমানে দেশের একাধিক রাজ্যে প্রবল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাতও চলছে।
যে সমস্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানায় আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। স্কাইমেটের মতে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, তামিলনাড়ু, দক্ষিণ কর্ণাটক, ওড়িশার দক্ষিণ উপকূল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর আবার জানাচ্ছে, আজ বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর। তবে দক্ষিণবঙ্গের আর কোথাও তেমন কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই শহর কলকাতাতেও। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও একই পরিস্থিতি। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস আরও জানাচ্ছে, ৭ জেলায় চলতে পারে তাপপ্রবাহ। তারমধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মতো জেলা। আজ শহর কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি।