Advertisement

Indian Currency Notes: ভারতীয় নোটে গান্ধীর সঙ্গে থাকে এই ছবিগুলিও, চিনে নিন

ভারত বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের আবাসস্থল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রতিটি মুদ্রার নোটের (Indian Currency Notes) সামনের দিকে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ছবি মুদ্রণ করে।

ভারতীয় নোটে গান্ধীর সঙ্গে থাকে এই ছবিগুলিভারতীয় নোটে গান্ধীর সঙ্গে থাকে এই ছবিগুলি
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 27 Oct 2022,
  • अपडेटेड 2:38 PM IST
  • নোটের সামনের দিকে মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকে
  • নোটের উল্টো দিকে দেশের একটি স্মৃতিস্তম্ভের ছবি থাকে

ভারত বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের আবাসস্থল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রতিটি মুদ্রার নোটের (Indian Currency Notes) সামনের দিকে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ছবি মুদ্রণ করে। নোটের উল্টো দিকে দেশের একটি স্মৃতিস্তম্ভের (Monuments) ছবি থাকে। নতুন রঙিন নোটের সিরিজে প্রতিটি নোটের পিছনে একটি আলাদা ছবি ছাপা হয়েছে। আপনি এই স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে কি চেনেন?

কোনার্ক সূর্য মন্দির (Konark Sun Temple): কোনার্ক সূর্য মন্দির ওড়িশায় অবস্থিত একটি মন্দির। রথের আকারে নির্মিত এই মন্দিরটি ভগবান সূর্যকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এর রথের ২৪টি চাকা রয়েছে, যা দিনের ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহের ৭টি দিনকে প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৮৪ সালে সূর্য মন্দিরটিকে ইউনেস্কো  'ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' হিসাবে ঘোষণা করে। ১০ টাকার নোটে কোনার্ক সূর্য মন্দিরের ছবি ছাপা হয়েছে।

ইলোরা গুহা (Ellora Caves):  মহারাষ্ট্রে অবস্থিত ইলোরা গুহা বিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ৩৪টি গুহা রয়েছে, যার মধ্যে কৈলাস মন্দিরের গুহা হিমালয়ের কৈলাস পর্বতশ্রেণীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই গুহাগুলি প্রায় ৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছে। UNESCO দ্বারা এই গুহাকে 'ভারতে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' ঘোষণা করা হয়েছে। এই অমূল্য ঐতিহ্য তিনটি প্রধান ধর্ম - হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং ধর্মীয় সহনশীলতার চেতনার প্রতীক। ২০ টাকার নোটের পিছনে এর ছবি ছাপা হয়েছে।

আরও পড়ুন

হাম্পি

হাম্পি (Hampi): কর্নাটকে অবস্থিত হাম্পি শহরে প্রায় ২৫০টি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং মন্দির রয়েছে। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে হাম্পি ছিল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী এবং সেই সময়ে এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাম্পি রাজধানী হিসাবে তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এখন এই শহরের ধ্বংসাবশেষে দেখতে যান পর্যটকরা। ১৮৮৬ সালে UNESCO ভারতের হাম্পি শহরকে 'বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' হিসেবে ঘোষণা করে। ৫০ টাকার নোটের পিছনে হাম্পির ছবি ছাপা হয়।

Advertisement
রানি কি ভাভ

রানি কি ভাভ (Rani ki Vav): ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট রানি কি ভাভ ভারতের সবচেয়ে বড় কূপগুলির মধ্যে একটি। গুজরাতের সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত এই ঐতিহ্যটিকে প্রাচীনতম কূপগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটিতে খোদাই করা স্তম্ভ রয়েছে এবং দেওয়ালে ৮০০টিরও বেশি সুন্দর খোদাই করা ভাস্কর্য রয়েছে, যা ভগবান বিষ্ণুর অবতারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ১০০ টাকার নোটের পিছনে এর ছবি ছাপা হয়েছে।

সাঁচি (Sanchi): সাঁচি মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত, সাঁচির স্তূপ বৌদ্ধ ধর্মের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। সাঁচি স্তূপ নির্মাণের পেছনে একটি মজার গল্প রয়েছে। সম্রাট অশোক খ্রিস্টপূর্ব ২৬২ সালে কলিঙ্গের যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধে রক্তপাত দেখে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে বিশ্বে শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর নির্দেশে সাঁচি স্তূপ নির্মিত হয়েছিল। এটি ভারতের প্রাচীনতম পাথরের কাঠামোগুলির মধ্যে একটি। ২০০ টাকার নোটের পিছনে এর ছবি ছাপা হয়েছে।

লালকেল্লা (Red Fort): দেশের রাজধানীতে অবস্থিত লাল কেল্লা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাল ইটের তৈরি এই দুর্গটি মুঘল সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেছিলেন। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়েছে এবং এর ছবি ৫০০ টাকার নোটের পিছনে মুদ্রিত হয়েছে।

মঙ্গলযান (Mangalyaan): মার্স অরবিটার মিশন, যা 'মঙ্গলযান' নামেও পরিচিত, মহাকাশে দেশের ঐতিহাসিক মাইলফলককে চিহ্নিত করে। ২০১৪ সালে মঙ্গলযান পাঠানয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। এই যানটি আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করছে। দেশের এই সাফল্যকে সম্মান জানাতে ২০০০ টাকার নোটের পিছনে মঙ্গলযানের একটি ছবি ছাপা হয়েছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement