Advertisement

ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশা মারতে আস্ত ট্রেন চালু রেলওয়ের

বর্ষাকালে রেললাইনের আশেপাশের গর্তগুলি দিনের পর দিন জলে ভরে যায়, যা মশার প্রজননের সম্ভাবনা বাড়ায়। জনস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এই পদক্ষেপে ব্যবহৃত কীটনাশক পরিবেশবান্ধব, যা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের কোনও ক্ষতি করে না।

মশা/প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি ,
  • 28 Aug 2021,
  • अपडेटेड 4:49 PM IST
  • বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়
  • ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ দেখা দেয়
  • এই পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের তরফে দিল্লিতে 'মসকিউটো টার্মিনেটর ট্রেন' চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ দেখা দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের তরফে দিল্লিতে 'মসকিউটো টার্মিনেটর ট্রেন' চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রেললাইনের আশেপাশের এলাকায় পাওয়ার স্প্রেয়ার দিয়ে কীটনাশক স্প্রে করা হবে। নয়াদিল্লি থেকে শুরু হয়ে এই ট্রেনটি পুরাতন দিল্লি, সদর বাজার, সবজি মান্ডি স্টেশন, আজাদপুর, বাদলি এবং নরেলায় রেল লাইনের কাছে কীটনাশক স্প্রে করবে। 

বর্ষাকালে রেললাইনের আশেপাশের গর্তগুলি দিনের পর দিন জলে ভরে যায়, যা মশার প্রজননের সম্ভাবনা বাড়ায়। জনস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এই পদক্ষেপে ব্যবহৃত কীটনাশক পরিবেশবান্ধব, যা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের কোনও ক্ষতি করে না। এদিন নর্থ দিল্লির মেয়র রাজা ইকবাল সিং নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে মশার টার্মিনেটর ট্রেনটিকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে রওনা করে।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগী ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যালেরিয়ায় ৮ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। কর্পোরেশনের রিপোর্ট বলছে, গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গত বছরের ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত, ডেঙ্গুতে ৪১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালে অগাস্টেই ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু এবছর সংখ্যাটা ছাপিয়ে গেছে। অগাস্ট শেষে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮। বাইরের রাজ্যগুলি নিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯।

এ প্রসঙ্গে ড. এল.এন. ভার্মা বলেন, বৃষ্টির কারণে জমে থাকা জলের কারণে মশা প্রজনন করছে। ডেঙ্গু মশা পরিষ্কার জলে এবং ম্যালেরিয়া মশা নোংরা জলে জন্ম নেয়। বৃষ্টির পর একমাত্র উপায় এর প্রতিরোধ, কারণ ডেঙ্গু রোগ থেকে সারতে কোনও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই এবং এর কোনও ভ্যাকসিন নেই।

Advertisement

তাই করোনা অতিমারির মধ্যে ডেঙ্গু যাতে নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেই কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হল দিল্লিতে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement