
Bloomberg Billionaires Index India: দেশের ধনীতমের তালিকায় ফের এক নম্বরে মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani)। অন্য দিকে, গৌতম অদানি(Gautam Adani) এক ধাপ নেমে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তা হলে দ্বিতীয় স্থানে কে? ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এ বছর দুই নম্বর স্থানে কোন ধনকুবের? প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে আয়ের নিরিখে আদানিকে পেরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন এই ধনকুবের। নাম লক্ষ্মী মিত্তল(Lakshmi Mittal)। ইস্পাত টাইকুনের ২০২৫ সাল বেশ ভালই কেটেছে। তবে দেশের সবচেয়ে ভ্যালুয়েবল সংস্থা হিসাবে স্থান ধরে রেখেছে রিলায়েন্স। ২০২৫ সালে দালাল স্ট্রিটে সবচেয়ে মূল্যবান সংস্থার স্থান ধরে রেখেছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ।চলতি বছর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার বেশ ভাল পারফর্ম করেছে। চলতি বছরে রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্থেও। রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে আম্বানির সম্পত্তি এক লাফে প্রায় ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে।
বিএসই সেনসেক্সে চলতি বছরে রিলায়্যান্সের শেয়ার ষষ্ঠ সেরা পারফর্মিং স্টক। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যালু আনলকিং নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব, ২০২৬ সালে রিলায়্যান্স জিও প্ল্যাটফর্মসের আইপিও ঘিরে প্রত্যাশা এবং বিশ্লেষকদের অনুকূল মন্তব্য; সব মিলিয়েই এই শেয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, মুকেশ অম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ বিলিয়ন ডলার। এই সম্পদের জোরেই তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ১৮তম স্থানে রয়েছেন। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর সম্পত্তিতে প্রায় ৪৩১ মিলিয়ন ডলারের সামান্য পতন লক্ষ্য করা গেছে।
এ বছর আয়ের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লক্ষ্মী মিত্তাল। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টিল ও মাইনিং সংস্থা আর্সেলরমিত্তালের মালিক তিনি। ২০২৫ সালে তাঁর নেট ওয়ার্থ বেড়েছে প্রায় ১১.৭ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১.৪ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজের ভাল পারফরম্যান্সের কারণেই এই বিপুল বৃদ্ধি।
গৌতম অদানি এ বছর আয়ের নিরিখে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছেন। ২০২৫ সালে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৬.৫২ বিলিয়ন ডলার এবং মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৫.২ বিলিয়ন ডলারে। অদানি গ্রুপের একাধিক সংস্থার শেয়ার, যেমন অদানি পাওয়ার, অদানি এনার্জি সলিউশন্স এবং অদানি পোর্টস; চলতি বছরে ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সঙ্গে এ সি সি লিমিটেড, এ ডব্লিউ এল অ্যাগ্রি বিজনেস, অদানি টোটাল গ্যাস এবং এনডিটিভির শেয়ারে ১৩ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত পতনও লক্ষ্য করা গেছে।