পহেলগাঁওয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হন এক মুসলিম তরুণী। কয়েকদিন চিন্তাভাবনার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। গাজিয়াবাদে হিন্দু রক্ষা দলের সহায়তায় সমস্ত নিয়ম মেনে, পুজা-আচ্চা ও রীতিনীতির মাধ্যমে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করলেন। পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে ছিলেন হিন্দু রক্ষা দলের সভাপতি পিঙ্কি চৌধুরী। ধর্ম পরিবর্তনের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘নেহা খান’ থেকে ‘নেহা শর্মা’ হলেন তিনি।
নেহা শর্মা বলেন, 'পহেলগাঁও হামলা আমাকে অন্তর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমি নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে জঙ্গিরা হিন্দুদের পরিচয় জেনে একে একে হত্যা করেছে। তখনই আমার মনে হয়েছিল, ইসলাম ধর্ম যেন আজ সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মনে হয় যেন, প্রতিটি মুসলিমই সন্ত্রাসবাদীদের মতো দেখতে।' এই ভাবনা থেকেই তিনি সনাতন ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান।
নেহা জানান, এখন তিনি গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন যে তিনি সনাতন নারী। মুসলিম সমাজের অন্যদেরও এই বিষয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি। ধর্ম পরিবর্তনের সময় তিনি হিন্দু রক্ষা দলের সভাপতি পিঙ্কি চৌধুরীকে রাখি পরিয়ে নিরাপত্তার আশ্বাসও নেন।
পিঙ্কি চৌধুরী বলেন, 'এটি ধর্মান্তর নয়, এটি ‘ঘর ওয়াপসি’। কেউ যদি স্বেচ্ছায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসতে চায়, তাহলে আমরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করব।'
ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই এই ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। গাজিয়াবাদে এই ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হিন্দু রক্ষা দলের দাবি, এই ঘটনা তাদের ধর্মরক্ষার আন্দোলনে নতুন করে উৎসাহ প্রদান করবে।
নেহার বক্তব্য, এখন থেকে তিনি গর্বের সঙ্গে নিজের পরিচয় দেবেন ‘সনাতনের মেয়ে’ হিসেবে। পাশাপাশি তিনি এই আশাও প্রকাশ করেছেন যে, মুসলিম সমাজের আরও অনেকে তাঁর মতো সাহস দেখিয়ে সনাতন ধর্মের পথ বেছে নেবেন।
খবরটি হিন্দিতে পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।