Advertisement

Nagpur Violence Mastermind: পাকড়াও নাগপুর হিংসার মাস্টারমাইন্ড ফহিম খান, উস্কানি দিয়ে লোক জুটিয়েছিলেন

ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিবাদের জেরে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে। সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাতে হংসপুরিতে হামলা চালায় এক গোষ্ঠীর লোকেরা। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছোড়া হয় পাথর।

নাগপুর হিংসানাগপুর হিংসা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 19 Mar 2025,
  • अपडेटेड 1:40 PM IST
  • ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিবাদের জেরে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে।
  • সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

ঔরঙ্গজেবের কবরকে কেন্দ্র হিংসা মহারাষ্ট্রের নাগপুরে! ওই ঘটনার পিছনে থাকা মূল ষড়যন্ত্রীর নাম প্রকাশ করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। তারা জানাল, হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন জনৈক ফহিম সহিম খান। উস্কানি দিয়ে মানুষকে জড়ো করেছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ফহিমকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।     

নাগপুর পুলিশের দাবি, ৩৮ বছর বয়সী ফহিম সহিম খানের উস্কানিমূলক ভাষণের পরই নাগপুরে হিংসা ছড়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফহিম মাইনোরিটি ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নগর সভাপতি। তিনি নাগপুরের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে নাগপুর লোকসভা আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ফহিম সহিম খান। ২০২৪ সালের নাগপুর লোকসভা আসনে মাইনরিটিজ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর নামে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।

ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিবাদের জেরে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে। সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাতে হংসপুরিতে হামলা চালায় এক গোষ্ঠীর লোকেরা। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছোড়া হয় পাথর। গোটা হিংসার পর জারি করা হয় কার্ফু। বিভিন্ন মহলের দাবি, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে ওই এলাকায়। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন রাজ্যের গোয়েন্দাদের কাছে আগাম খবর ছিল না? 

ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্ক কী? 

অতিসম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অভিনেতা ভিকি কৌশলের ছবি 'ছাভা'। এরপরই ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। নাগপুরে ঔরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবি করে হিন্দুত্ববাদীরা। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও সমাধি অপসারণের পক্ষে সওয়ান করেন। উল্টোদিকে, ঔরঙ্গজেবকে সুশাসক বলে অভিহিত করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমি। তিনি মনে করেন,ঔরঙ্গজেব নিষ্ঠুর ছিলেন না। তাতে বিতর্ক আরও তীব্র হয়। তিনি দাবি করেন, ছবিতে ঔরঙ্গজেবের ভাবমূর্তি কলুষিত করা হয়েছে। নাগপুরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের মতো সংগঠনগুলি হুমকি দেয়,ঔরঙ্গজেবের সমাধির হাল হবে বাবরির মতোই। 
 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement