সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানের মাজা ভেঙে দেওয়ার পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগাঁও হামলার বদলায় ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর' যে কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ নয়, এটি দেশবাসীর আবেগ এবং প্রতজ্ঞার পরিমাণ, সেটির ব্যাখ্যা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতাদের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের মা-বোন-মেয়েদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দেওয়ার চেষ্টা হলে এমনই কড়া প্রত্যাঘাত করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায়, 'ভারতের মা-বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছে দিয়েছিল ওরা, তাই ভারত ওদের হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করে দিয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি নাম নয়, এটি দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগের প্রতিফলন। অপারেশন সিঁদুর ন্যায়বিচারের এক অটুট অঙ্গীকার। ৬ মে গভীর রাতে, ৭ মে ভোরে গোটা বিশ্ব এই অঙ্গীকারকে পরিণত হতে দেখেছিল।' কীভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে অবস্থিত জঙ্গি শিবির এবং তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালিয়েছে, তাও এদিন তুলে ধরে ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, 'সন্ত্রাসীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এত বড় পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু যখন দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়, প্রথমে জাতির চেতনায় পূর্ণ হয়, তখনই দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ফলাফল অর্জন করা হয়।'
'অপারেশন সিঁদুর'ই নিউ নর্ম্যাল নীতি। এবং এই অপারেশন শেষ হয়নি কেবলমাত্র স্থগিত করা হয়েছে বলে স্পষ্ট ভাবে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সেনার প্রত্যাঘাতের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। তাদের হৃদয়ে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি হয়েছে তাদের বলেও জানান মোদী। তাঁর কথায়, 'হতাশা থেকে দুঃসাহস দেখিয়েছে পাকিস্তান। আমাদের গুরুদ্বার, মন্দির, নিরীহ নাগরিদের উপর হামলা করেছে ওরা। তার কড়া জবাব দিয়েছে সেনা। কিন্তু তা সহ্য করতে না পেরে গোটা বিশ্বে ঘুরে ঘুরে কাকুতি-মিনতি করেছে ওরা। ওদের DGMO আমাদের ফোন করেছিলেন। ওরা জানিয়েছিল আর হামলা হবে না, গোলাবারুদ চলবে না তাই বিবেচনা করে আমরা অপারেশন সিঁদুর স্থগিত করেছি। তবে ওদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের উপর নজর থাকবে আমাদের। কোনও রকম হামলার চেষ্টা হলে ভারত কড়া ভাষায় জবাব দেবে।'