অষ্টমীর সন্ধ্যায় দিল্লির বাঙালি মহল্লা চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গামণ্ডপে হাজির হলেন প্রধানমব্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালীবাড়ি মন্দিরে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিলেন। এই প্রথমবার সিআর পার্কের দুর্গাপুজোয় গেলেন মোদী। ভোটমুখী বাংলাকে মাথায় রেখেই কি প্রধানমন্ত্রীর এহেন কর্মসূচি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
সিআর পার্কের দুর্গোৎসবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন,'মহাষ্টমীর এমন শুভ দিনে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাৎসবে শামিল হয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্কের বাঙালি সংস্কৃতির যোগ রয়েছে। আমাদের সমাজের ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততার প্রতিফলন ঘটেছে এই উৎসবে। সকলের সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনা করেছি'।
সামনের বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। অতিসম্প্রতি এ রাজ্যে একাধিকবার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনির বদলে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে 'জয় মা দুর্গা'। এদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো উদ্বোধনে ঝটিকা কলকাতা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তাহলে কি লক্ষ্য বাঙালি ভোট? বিজেপির অন্দরের খবর, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, বিহারেও বাঙালি হিন্দুরা বসবাস করেন। তাঁদের ভোটও ফ্যাক্টর। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের ১৫০টিরও জেলায় বাঙালি হিন্দু ভোটাররা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেন। দুর্গাপুজোয় শামিল হওয়ার মাধ্যমে তাঁদের বার্তা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে 'বহিরাগত' বলে প্রচার বলে করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার ফলও মিলেছে ইভিএমে। রাজনীতির কারবারিদের মতে,জয় শ্রী রাম স্লোগানে বাংলার মননে প্রভাব ফেলা যাচ্ছে না। সেটা বুঝতে পেরেই দুর্গা ও কালীর শরণে বিজেপি। ঘটনা হল, শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকে বাঙালিয়ানার সঙ্গে দলকে মেশানোর চেষ্টা প্রতীয়মান। সেই কৌশলেরই একটা অংশ মোদীর অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি।