গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনার একাংশ মেনে নিয়েছে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। পণবন্দিদের মুক্তি দিতেই প্রস্তুত তারা।
এক্স হ্যান্ডল পোস্টে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাচ্ছি। পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পথে বড় উন্নতি।'
নয়া দিল্লির দীর্ঘদিনের অবস্থান ফের একবার স্মরণ করিয়ে নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদি এবং যথাযথ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবরকমের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে ভারত।' মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা এবং পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ট্যারিফকে কেন্দ্র করে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্প্রতি মনমালিন্য চলছে, সেই আবহেই গাজায় শান্তি প্রচেষ্টার এই প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। চলতি বছর অগাস্ট মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০% ট্যারিফ চাপিয়েছেন। রাশিয়া থেকে লাগাতার ভারতের তেল কেনার বিরোধিতায় এমন সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারত বিষয়টিতে 'অযৌক্তিক' এবং 'অন্যায়' বলে তকমা দিয়েছি। সেই থেকেই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
তবে সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের পক্ষ থেকেই সম্পর্ক পুনরায় দৃঢ় করার ইঙ্গিত মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর ৭৫ তম জন্মদিনে উইশ করতে মধ্যরাতে ফোন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রকাশ্যে সেই ফোনের কথা জানিয়েওছেন মোদী। ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদীর একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। মোদীর গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানানোর বিষয়টি তুলে ধরেন ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পোস্টে কোনও বাড়তি মন্তব্যও যোগ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এটিকে কূটনৈতিক পদক্ষেপের চোখেই দেখছে দুনিয়া। দুই দেশের মধ্যে জটিল অথচ অন্যরকম একটি সম্পর্কের সমীকরণ মিলছে এই ঘটনাপ্রবাহ থেকে।
কেবলমাত্র নরেন্দ্র মোদীই নন, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।