প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউনাইটেড নেশনের নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council) আয়োজিত সমুদ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে মিটিংয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। ৯ অগাস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হবে। এখনও পর্যন্ত প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই মঞ্চে সভাপতিত্ব করবেন।
এমন সম্মান এই প্রথম
কোনও বৈঠকে যেখানে ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউনসিল তার মূল আয়োজক, সেই বৈঠকে ভারতের তরফে এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এই সম্মান পাননি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এই প্রথম সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে এভাবে হাই লেভেল মিটিং ডাকা হয়েছে এবং যা গোটা বিশ্ব একসঙ্গে শুনতে পারবে। এই উদ্যোগ ইউনাইটেড নেশন এর পক্ষ থেকে অত্যন্ত লাভজনক এবং ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি আশা করেছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নিজে টুইট করে এই বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছেন।
বৈঠক লাইভ বিকেল সাড়ে পাঁচটায়
৯ অগাস্ট সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বৈঠকটি লাইভ দেখাবে নিরাপত্তা পরিষদ। হাই লেভেল অফ লিবারটি এন্ড এনহান্সিং মেরিটাইম সিকিউরিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এর সভাপতিত্বে করতে চলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পিএমও অফিস জানিয়েছে, এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রধান এবং মাথা যারা রয়েছেন, তাঁরা অংশ নেবেন। পাশাপাশি ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের প্রবক্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা থাকবেন।
সমুদ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধি
ওপেন এই বৈঠকের বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়েছে। তা হলো সমুদ্র এবং সমুদ্র উপকূলে যে নিরাপত্তা, সেটি কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, বিভিন্ন দেশের মধ্যেকার যোগাযোগ বৃদ্ধি করে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। সমস্ত দেশের সহযোগিতায় বিশেষ করে যে সমস্ত দেশের সীমান্তের সমুদ্র রয়েছে তাদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।
ভারত আগে থেকেই ইস্যু তৈরি করছিল
এই বিষয়ে ভারত আগেই ইস্যু তৈরি করা শুরু করেছিল। ফলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কে সভাপতিত্ব করার অনুরোধ করা হয়েছে। ভারত সমুদ্র উপকূল ও নিজ দেশের সীমানায় নিরাপত্তা বজায় রাখার উপর জোর দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই।
কারা থাকবেন বৈঠকে
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স আন্তনিয়ো সিসেদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্থনির উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার অফ নিগার হাসান মাসুদ, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা এবং ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মেন চিন সহ বিভিন্ন দেশের আরও বেশকিছু মন্ত্রী ও শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে।
ভারত কি ধরনের প্রস্তাব দিতে চলেছে
বৈঠকের আগে ভারতের পক্ষ থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব আকারে পেশ করতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। সোমবারের বৈঠকে একাধিক দেশের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সিগুলির মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করা, সমুদ্রকে ব্যবহার করে যে সমস্ত অপরাধগুলি ঘটে, যেমন জলদস্যুতা কিংবা সশস্ত্র লুণ্ঠন সেগুলি অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে কতটা প্রভাব ফেলছে তার উপর কিছু পরামর্শ, বিভিন্ন জাহাজ ও নৌ চালকদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর উপরে ভারত যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের ইতিহাসে সমুদ্র বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের ইতিহাসে সমুদ্র একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সবসময়ই দখল করে রেখেছে। সিন্ধু সভ্যতা কিংবা হরপ্পা- মহেঞ্জোদারো অথবা বাংলায় ব্রিটিশ শাসন সবটাই সমুদ্রকে ভিত্তি করে শক্তপোক্ত হয়েছিল।