মহারাষ্ট্রের গডচিরোলি জেলায় সশস্ত্র নকশাল আন্দোলনের ওপর এক বড় ধাক্কা। মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মালোজুলা ভেনুগোপাল রাও ওরফে সোনু/ভূপতি ৬০ জন সহযোগী নিয়ে গত রাতে গডচিরোলি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
গণ আত্মসমর্পণের প্রেক্ষাপট
সোনু বা ভূপতি দীর্ঘদিন ধরে নিচু স্তরের মাওবাদী ক্যাডারদের মধ্যে শান্তি আলোচনা এবং সশস্ত্র আন্দোলন ত্যাগের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। যদিও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তাঁর অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এবং যা শুধুমাত্র সোনুর ব্যক্তিগত মতামত বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবুও তাঁর প্রভাব নিচু স্তরের কমান্ডারদের মধ্যে দৃঢ়ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
গডচিরোলি ডিভিশনের মাওবাদী কর্মীরা সোনুর অবস্থান সমর্থন করে যৌথ চিঠি প্রকাশ করেছিল। এরপর উত্তর বস্তার এবং মার ডিভিশনের কিছু নকশাল কমান্ডারও একইভাবে সমর্থনসূচক চিঠি প্রকাশ করেন। এর ফলে ধারণা করা হয়েছিল যে সোনু শীঘ্রই আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
আত্মসমর্পণের দিন
গত রাতে, দক্ষিণ গডচিরোলির ঘন জঙ্গলে, সোনু ওরফে ভূপতি, দশজন ডিভিসিএম এবং আরও ৬০ জন নকশালবাদী তাঁদের অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করেন। মহারাষ্ট্র পুলিশ এই অভিযানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল। এবং সোনুকে রাজি করানোর মাধ্যমে সশস্ত্র নকশাল কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
প্রভাব ও ভবিষ্যৎ
এই গণ আত্মসমর্পণ মহারাষ্ট্রের নকশাল আন্দোলনের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মহারাষ্ট্রে সশস্ত্র নকশাল আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের দিকে বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল গডচিরোলি সফর করবেন। এবং এই আত্মসমর্পণকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের বনাঞ্চল ও সীমান্তবর্তী এলাকা শান্তিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।