TMC on NCERT Proposal: স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে 'ইন্ডিয়া'-র পরিবর্তে 'ভারত' নাম রাখার সুপারিশ ঘিরে চরমে বিতর্ক। এনসিইআরটি প্যানেলে এই সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের নিন্দা প্রকাশ করে তৃণমূল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কটাক্ষ করে বলেন, "হাস্যকর সিদ্ধান্ত কারণ তারা ইন্ডিয়া শব্দটি নিয়ে ভীত...এটি একটি উদ্ভট সিদ্ধান্ত। সঠিক সিদ্ধান্ত নয় এবং রাজনৈতিকভাবে তারা ভারত ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পায়। এটাই সবচেয়ে ভাল উদাহরণ...।"
বুধবার কমিটির চেয়ারপার্সন সিআই আইজ্যাক এই সুপারিশের কথা জানান। সোশ্যাল সায়েন্সের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)। তাতে স্কুলের পাঠ্যক্রম সংশোধন করা হয়। বই থেকে 'India' নামটি 'ভারত'-এ পরিবর্তন করার সুপারিশ করে। শুধু তাই নয়, প্রাচীন ইতিহাসের পরিবর্তে পাঠ্যবইতে ক্লাসিকাল ইতিহাস রাখার সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কমিটি পাঠ্যপুস্তকে 'প্রাচীন ইতিহাস'-এর পরিবর্তে 'ক্লাসিক্যাল ইতিহাস' অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। ইতিহাসকে আর প্রাচীন, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিকে বিভক্ত করা হবে না, কারণ এটি দেখায় যে ভারত পুরনো জাতি এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে অসচেতন। ব্রিটিশরা ভারতীয় ইতিহাসকে প্রাচীন, মধ্যযুগ ও আধুনিক এই তিন ভাগে ভাগ করেছে। প্রাচীন মানে দেশটি অন্ধকারে ছিল, যেন বৈজ্ঞানিক সচেতনতা ছিল না। তবে এই সময়ে সৌরজগতের উপর আর্যভট্টের কাজ সহ এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।
ভারত শব্দটি বিষ্ণু পুরাণের মতো প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, যা ৭ হাজার বছরের পুরনো। তাই সর্বসম্মতিক্রমে সব শ্রেণির বইয়ে ভারতের নাম ব্যবহার করার সুপারিশ হয়েছে। আইজ্যাক বলেন, ইন্ডিয়া শব্দটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পরে সাধারণত ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ভারত শব্দটি বিষ্ণু পুরাণের মতো প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, যা ৭ হাজার বছরের পুরনো। এমতাবস্থায় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সব শ্রেণির বইয়ে ভারতের নাম ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে।
এর আগে জি২০ সামিটেও 'ভারত' শব্দটি ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ভাষণে বারবার উঠে এসেছে 'ভারত'। অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি 'ইন্ডিয়া' জোটকে ভয় পেয়েই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।