রাজ্যে রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনাভাইরাস। নয়া ভ্যারিয়ান্টের দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর স্বভাব উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে জানেন কি এবারের কোভিড-১৯ কী কী উপসর্গ নিয়ে শরীরে থাবা বসাচ্ছে?
ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়ান্ট
প্রতিবারই ভ্যারিয়ান্ট বদলে, নয়া নাম নিয়ে হানা দেয় কোভিড। এবার ভ্যারিয়ান্টটির নাম পিরোলা। এটি ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়ান্ট। শরীরের থাবা বসালে ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চোখের যন্ত্রণা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, পেশীতে ব্যথার মতো উপসর্গও নজরে পড়েছে এবার। প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী ও কোমোর্বিড রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, JN1 Covid-19-এর ৩০ বার মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই ভ্যারিয়ান্ট সংক্রামক বেশি এবং সহজেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
দিল্লিতে জারি অ্যাডভাইসরি
দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কোভিড-১৯ নিয়ে বিশেষ অ্যাডভাইসরি জারি করেছে। অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। জনবহুল স্থানে গেলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। বিশেষত গর্ভবতী এবং প্রবীণদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সামান্যতম উপসর্গও চোখে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পঙ্কজ সিং বলেন, 'বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লিতে। আক্রান্তদের বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস থাকলে সেটিও ট্র্যাক করা হচ্ছে। তবে সামান্য ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই এর প্রভাব ফলে অত্যধিক প্যানিক করার কোনও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই করোনার মোকাবিলা করা সম্ভব।'
কোন রাজ্যে কত আক্রান্ত?
দেশের মধ্যে ফের সবচেয়ে বেশি করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়েছে কেরলে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২। এরপর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিশ তামিলনাড়ুতে। সেখানে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৬। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। কর্নাটকে আক্রান্ত ১৬, গুজরাতে আক্রান্ত ১৫, পুদুচেরিতে আক্রান্ত ১২, হরিয়ানাতে ৪, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং সিকিমে আক্রান্ত ১।