মহা সমারোহে আজ, রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাচীন ভারতে ঐতিহ্য ও ইতিহাস মেনেই তৈরি হয়েছে অন্দরসজ্জা। সেখানেই রয়েছে প্রাচীন ভারতের একটি ম্যাপ। জায়গার নামগুলিও পুরোনো। প্রধানমন্ত্রী এদিন সংসদ ভবন উদ্বোধন ভাষণে বলেছেন, 'নতুন রাস্তাই নতুন গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এই নতুন সংসদ ভবন সেই কাজের প্ররণা হবে। ভারত একসময় পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে গৌরবশালী দেশ ছিল। সেই হৃত গৌরব আমাদের ফেরাতে হবে।' এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হচ্ছে, ভারত কী ফের অখণ্ড হবে?
দিনক'য়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি টুইট করে বলেছিলেন, ‘ভারত হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, আছে এবং থাকবেও। একদিন না একদিন অখণ্ড ভারত তৈরি হবেই। এবং পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গেই মিলে যাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে নতুন সংসদ ভবনে আঁকা রয়েছে বৈদিক ভারতের মানচিত্র।
কোন কোন দেশ নিয়ে ছিল বৈদিক ভারত? আজকের আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, ভুটান, মায়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আসে অখণ্ড ভারতে, শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে ভারতের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় আজকের মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়াও। যেগুলির প্রাচীন নামই রাখা হয়েছে মানচিত্রে।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতও ‘অখণ্ড ভারত’ গঠনের যে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত নাকি বলেছেন, ‘অখণ্ড ভারত গঠনের স্বপ্নপূরণের পথে ভয়ই একমাত্র বাধা। যেদিন এই ভয় কাটানো যাবে, সেদিনই অখণ্ড ভারত গড়া সম্ভব হবে।’
সূত্রের খবর, প্রাচীন অবিভক্ত ভারতের খসড়া সংবিধানের প্রচ্ছদে ভারতের যে মানচিত্র ছাপা হয়েছে, তাতে পশ্চিমে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, পূর্বে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ এবং দক্ষিণে শ্রীলঙ্কার কোনও স্বকীয় অস্তিত্ব রাখা হয়নি। পাঁচটি দেশই ভারতের অন্তর্গত। ভারতবর্ষ থেকে যেসব দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সবকটি দেশই রয়েছে নতুন সংসদের ম্যাপে। তবে পুরোনো নামে। শোনা যাচ্ছে, সবাইকে নিয়েই গঠিত হবে অবিভক্ত ভারত।