NH-10 Landslide 2025: ফের ধস ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH-10)। ফলে কালিম্পং ও সিকিমগামী মূল রাস্তা ফের দিনভর বন্ধ রইল শুক্রবার থেকে। শনিবারও সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ২০২৩ এর অক্টোবরের পর থেকে বারবার বিপর্যস্ত এই জাতীয় সড়ক। আগে রাজ্যের দায়িত্বে থাকলেও এখন তা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য। তারপরও রাস্তার হাল বেহাল। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) তরফে জানা গিয়েছে, নিয়মিত ধস নামতে থাকায় কাজ এগোচ্ছে না।
দিন কয়েক আগে সেবক ও কালিঝোরার মাঝে জাতীয় সড়কে বোল্ডার পড়ে পুরো রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসন যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরদিন বোল্ডার সহ ধস সরিয়ে পুনরায় যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ধস নেমেছে বিরিকদাড়ায়। এখানে অবশ্য আগেও অনেকবার ধস নেমেছে।
শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই পথ দিয়ে প্রচুর যানবাহন যাতায়াত করছিল। ঠিক সে সময় প্রচণ্ড গতিতে পাহাড় ভেঙে মাটি, পাথর পড়তে শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনেকটা এলাকাজুড়ে ধস নামায় জাতীয় সড়ক পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘এটা আসলে মাউন্টেন স্লাইড। পাহাড়ের অনেকটা অংশ ভেঙে পড়েছে। তবে, ধস নামছে দেখে যানবাহনগুলো দ্রুত পিছনের দিকে সরিয়ে নেওয়ায় হতাহতের খবর নেই। তবে, গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধসের পর থেকেই জাতীয় সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। কিছু গাড়ি ঘুরপথে কালিম্পং ও সিকিম থেকে তিস্তাবাজার, পেশক রোড, দার্জিলিং হয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমগামী কিছু গাড়ি, বিশেষ করে সিকিম ন্যাশনালাইজড ট্রান্সপোর্টের বাস সেবক থেকে ওদলাবাড়ি হয়ে গরুবাথান, কালিম্পং হয়ে আসা-যাওয়া করছে।
এর আগে সিকিমে টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে বিপদে সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা। কোথাও রাস্তা ভেঙে পড়েছে, কোথাও পাহাড়ে ধস নেমেছে। তার জেরে সেখান থেকে সড়কপথ ধরে বাইরে আসতে পারছেন না পর্যটকরা। তাঁদের উদ্ধারকার্য শুরু করতে নামতে হয় সেনাবাহিনীকে।