সেক্স এডুকেশন নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিধানসভায় ক্ষমা চাইলেন তিনি। বুধবার নীতীশ বলেন, 'আমি নারী শিক্ষার কথা বলেছি। এই কথাগুলো আমি সাধারণ অর্থেই বলেছি। যদি কেউ এতে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।' এই নিয়ে বিধানসভায় ক্ষমাও চান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ।
নীতীশ বলেন, 'আমরা মহিলাদের শিক্ষার উপর জোর দিয়েছি। আমার বক্তব্যের জন্য কেউ ব্যথা পেলে আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। নিজেরও নিন্দা করছি। আমি শুধু লজ্জিতই নই, দুঃখপ্রকাশও করছি।' তবে নীতীশ কুমারের এই মন্তব্যের জন্য বিরোধী বিধায়করা সংসদে হৈহট্টোগোল শুরু করেন।
বিধানসভায় কী বললেন নীতীশ?
নীতীশ বলেন,'প্রত্যেকের সম্মতিতেই গতকাল প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নারী শিক্ষার প্রতি এত মনোযোগ দিচ্ছি। মেয়ে শিক্ষিত হলে প্রজনন হার ৫০ শতাংশ। মেয়েরা যদি এত লেখাপড়া করেছে বলেই আমি এই কথাগুলো বলেছি। তবে আমি লজ্জিত। দুঃখ প্রকাশ করছি।'
মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন নীতীশ কুমার বলেন, বিহারে মহিলাদের স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। এতে রাজ্যের উন্নতি হবে। মেয়েরা শিক্ষিত হওয়ায় জনসংখ্যার হারও নিয়ন্ত্রিত হবে। আর এই বক্তব্যটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'মেয়েরা শিক্ষিত হলে বিয়ের পর তারা অনেক সচেতন থাকবে। বিয়ের পর ছেলেরা যেটা রোজ রাতে করে ফলে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে শিক্ষিত হলে, পড়ালেখা করে... ওটা থাক না...এই কারণেই সংখ্যা কমছে।'
নীতীশ কুমারের এই বক্তব্যের ফলে বিধায়কদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নীতীশ সমর্থক বিধায়করা অস্বস্তিতে পড়েন। তবে ক্ষুব্ধ হন মহিলা বিধায়করা। কোনও কোনও বিধায়ক আবার হাসছিলেনও। ভাষণে নীতীশ জানান, ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় সাক্ষরতার হার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৯ শতাংশের উপরে হয়েছে।
এদিকে একাধিক দল ও বিধায়ক নীতীশের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেও তেজস্বী যাদব বলেন 'মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ঠিক নয়। তিনি কেবল যৌন শিক্ষার কথাই বলেছিলেন। যা স্কুলগুলিতেও পড়ানো হয়। তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন। বিষয়টি বাস্তব।'