রাজনীতির ঝড়ে তোলপাড় বিহার। হঠাৎ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গে রয়েছেন জেডিইউ নেতা বিজয় চৌধুরীও। রাজভবনে যাওয়ার আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সেখান থেকে সরাসরি পৌঁছে যান রাজভবন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে নীতীশ কুমারের বৈঠক চলছে বলে জানা গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই নীতীশের এনডিএ-তে ফিরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এরই মধ্যে একটি বিবৃতি দেন। এক সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে অমিত শাহের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, নীতীশ কুমারের জন্য NDA-এর দরজা এখনও খোলা আছে কিনা। এর জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেডিইউ এবং নীতীশ কুমারের এনডিএ-তে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'প্রস্তাব এলে আমরা বিবেচনা করব।'
অমিত শাহের এই বক্তব্যের পর বিহারের রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। জেডিইউ ও আরজেডির সম্পর্কের তিক্ততা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিহারের বিজেপি নেতা সঞ্জয় সারোগী বলেন, 'বর্তমানে নীতীশ কংগ্রেস, লালু ও তেজস্বীর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। নীতীশ কুমার যদি বিজেপির সদস্যপদ নিয়ে দলে যোগ দেন, তবে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোন্দল রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, রাহুল গান্ধীর জনসভাতে যোগ দিতে পারেন নীতীশ কুমার। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দেন জেডিইউ এমএলসি খালিদ আনোয়ার। এক বিবৃতিতে খালিদ আনোয়ার জানান, এখনও পর্যন্ত নীতীশ কুমার কংগ্রেস থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাননি। কংগ্রেস কীভাবে নীতীশের অংশগ্রহণের দাবি করেছিল তা আমার জানা নেই।
২০১৩ সালে নীতীশ কুমার NDA থেকে বেরিয়ে আসে। তার মাত্র দুই বছর পরে, ২০১৫ সালে নীতীশ কুমার রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের সঙ্গে 'জোট' গঠন করেন।