PM Modi Parliament Speech: বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের আক্রমণ করেন আগাগোড়া। বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ ও পাশাপাশি কটাক্ষের উপর জোর দেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'বিরোধীরা যার খারাপ চান তার ভাল হয়ে যায়।'
কী বললেন মোদী?
তিনি বলেন, "বিরোধীরা আমাকে দিনরাত অভিশাপ দেয়, আমার কবর খোঁড়ার প্রার্থনা করে।" তিনি বিরোধীদের শ্লোগানও নিজে উচ্চারণ করে দেন। তিনি বলেন, "বিরোধী জোটের সবচেয়ে প্রিয় স্লোগান হল মোদী তেরি কবর খুদেগি।" এটাই বিরোধীদের প্রিয় স্লোগান।" তিনি এরপরই বলেন, "আমি এই গালিগালাজের জন্য একটি টনিক তৈরি করেছি। বিরোধী দলের লোকেরা গোপন বর পেয়েছে।" কী সেই বর তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি। তিনি বলেন, বিরোধীরা যাঁর বা যাঁদের খারাপ চান, তাঁদের ভাল হয়ে যায়।" এটা একটা বর যে তারা যাদের জন্য মন্দ চায় তারা আশীর্বাদ পাবে। এরপর তিনি একাধিক উদাহরণও তুলে ধরেন। মানুষও বুঝে গিয়েছে বিরোধীরা যেটিকে খারাপ বলবে সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে', সংসদে মন্তব্য মোদির
কোন তিন উদাহরণ?
১. "আমার মনে হয় যে বিরোধী যাঁদের খারাপ চায়, তাঁদের শুভ হয়। তার সবথেকে বড় প্রমাণ আমি। প্রথম উদাহরণ হল আমাদের ব্যাঙ্কিং সেক্টর। বলেছিল যে ব্যাঙ্কিং সেক্টর ডুবে যাবে। কিন্তু এখন দেখাই যাচ্ছে যে কী হচ্ছে।"
২. "দ্বিতীয়ত, হ্যালকে নিয়ে উলটো-পালটা কথা বলা হত। হ্যাল ডুবে যাচ্ছে বলা হত। হ্যালকে নিয়ে এত বাজে কথা বলেছিল যে হ্যাল সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে।"
৩. "বিরোধীরা যাঁদের খারাপ চায়, তাঁদের ভালো হওয়ার তৃতীয় উদাহরণ হল এলআইসি। শেয়ার বাজারে যাঁরা বিনিয়োগ করেন, তাঁদের তো নীতি হল, যে সরকারি সংস্থাগুলিকে গালিগালাজ করছে বিরোধীরা, তাতে টাকা রাখা হোক।"
এছাড়াও বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীকে বলতে না দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস বারবার ওঁকে অপমান করে। অধীরবাবুকে কেন ঠিক মতো কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না? বোধ হয় কলকাতা থেকে কোনও বিশেষ ফোন এসেছিল। তার জন্যই কি তাঁকে (অধীর) এই বিতর্কে সরিয়ে রাখা হল? আমি অধীরবাবুর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'
দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, 'কিছু বিরোধী দলের আচরণ প্রমাণ করেছে তাদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়। তোমার মনে গরিবের ক্ষুধা নেই, ক্ষমতার ক্ষুধা তোমার মনে। তোমরা নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত, দেশের তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে নয়। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সঠিকভাবে আলোচনা করেনি। যে ফিল্ডিংটি বিরোধীরা করেছিল, এখান থেকে (সরকারের দিক থেকে) চার এবং ছক্কা মারা হয়েছিল। অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীরা নো-বল-নো-বল করছে। সরকার সেঞ্চুরি করছে। আমি বিরোধীদের বলতে চাই কিছু পরিশ্রম করে আসতে। আপনাদের ২০১৮ সালে বলা হয়েছিল যে কঠোর পরিশ্রম করে আসবেন, কিন্তু পাঁচ বছরেও কিছুই বদলায়নি। বিরোধীরা দেশকে হতাশা ছাড়া কিছুই দেয়নি। যাদের নিজেদের অ্যাকাউন্ট নষ্ট হয়ে গেছে, তারা আমাদের কাছে হিসাব চাইছে।'