G20 সামিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। G20 ডিনারে যাওয়ার জন্য কোনও অফিসিয়াল গাড়ি দেওয়া হবে না কোনও মন্ত্রীকে। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে চলবে G20 সামিট।
G20 সামিটে থাকা মন্ত্রীদের কাউন্সিলকে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেককে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে নিজেদের গাড়িতেই যেতে হবে। সেখান থেকে সাটল নিয়ে যাবে ভারত মন্দপমে। যেটি G20 ডিনারের ভেন্যু।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, G20 সামিটে যোগ দিতে আসা বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁদের সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে চলতে হবে। যাতে কোনও বিদেশি প্রতিনিধি অসম্মানিত বোধ না করেন।
আজ অর্থাত্ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কোনও মন্ত্রী G20 বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে পারবেন না। একমাত্র যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনিই এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন।
G20 সামিটের ডিনারে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডিনারে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। মুখ্যমন্ত্রীদের ঠিক বিকেল সাড়ে ৫টায় পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে তাঁদের নিজেদের গাড়িতে হাজির হতেই হবে। ডিনারের সময় ঠিক সন্ধে সাড়ে ৬টা।
যে সব মন্ত্রীরা G20 সামিটে যোগ দিতে আসা বিদেশি প্রতিনিধিদের রিসিভ করার দায়িত্বে রয়েছেন, বিমানবন্দরে তাঁদের যথাযথ সৌজন্য ও প্রটোকল মেনে চলতে হবে। G20 সামিটের জন্য একটি G20 অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে। সেই অ্যাপ সব মন্ত্রীদের ডাউনলোড করে নিতে বলা হয়েছে। সেই অ্যাপে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৫টি ভাষাও অন্যান্য ৫টি ভাষা সাপোর্ট করবে। সেগুলি হল, ইংরেজি, হিন্দি, জার্মান, জাপানি ও পর্তুগিজ।
G20 তৈরি হয়েছে ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিয়ে। প্রতি বছর আলাদা আলাদা দেশ জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। চলতি বছরে ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। ওই বৈঠকে এ বার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন বাইডেন। শুক্রবার দিল্লি পৌঁছবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।