ভারতে নাকি কন্ডোমের ঘাটতি হতে চলেছে। অর্থাৎ, দোকানে গেলেও কন্ডোম পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু রিপোর্টে এমন দাবি ছড়িয়েছে। তাতে এমনও বলা হচ্ছে যে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, এর ফলে ভারতের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিও প্রভাবিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় সংস্থা, সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস সোসাইটি (CMSS) সময়মতো গর্ভনিরোধক সরবরাহ করতে না পারাতেই এই সমস্যা বলে দাবি করা হচ্ছে। উক্ত 'রিপোর্টে' বলা হচ্ছে, 'অল ইন্ডিয়া কন্ডোম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছে যে সিএমএসএস কন্ডোম জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে।' কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই রিপোর্ট 'সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর' বলে জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, 'সরকারের বর্তমান গর্ভনিরোধকের মজুদ জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সিএমএসএস স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহ করে এবং এর টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং সরবরাহের পরিস্থিতি কঠোরভাবে নজরদারি করে।
সরকারের পর্যাপ্ত কন্ডোম আছে
সিএমএসএস, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। এটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ। এই সংস্থা জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি এবং জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য কন্ডোম কেনে ও বন্টনে সাহায্য করে।
CMSS চলতি বছরেই মে মাসে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির জন্য ৫.৮৮ কোটি কনডম কিনেছে। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির চাহিদা মেটানোর জন্য বর্তমানে সরকারের কাছে তাই যথেষ্ট সংখ্যক কন্ডোম রয়েছে।
CMSS ইতিমধ্যেই চলতি অর্থবর্ষে কন্ডোম কেনার জন্য দরপত্র জারি করেছে। টেন্ডারের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বিষয়ে তাই উদ্বেগের কিছু নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর দরপত্রের প্রক্রিয়া ও সরবরাহে নজরদারির জন্য সাপ্তাহিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে।