Advertisement

Maoists: আত্মসমর্পণ নয়, ১ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মাওবাদীদের, একাধিক দাবি

নকশাল-প্রভাবিত এমএমসি জোনের গভীর জঙ্গল থেকে বড় ধরনের বার্তা এল। মাওবাদী মুখপাত্র অনন্ত ঘোষণা করেছেন যে ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের সশস্ত্র ক্যাডাররা যুদ্ধবিরতিতে যাবে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের সংঘাতের পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 28 Nov 2025,
  • अपडेटेड 1:12 PM IST
  • নকশাল-প্রভাবিত এমএমসি জোনের গভীর জঙ্গল থেকে বড় ধরনের বার্তা এল।
  • মাওবাদী মুখপাত্র অনন্ত ঘোষণা করেছেন যে ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের সশস্ত্র ক্যাডাররা যুদ্ধবিরতিতে যাবে।

নকশাল-প্রভাবিত এমএমসি জোনের গভীর জঙ্গল থেকে বড় ধরনের বার্তা এল। মাওবাদী মুখপাত্র অনন্ত ঘোষণা করেছেন যে ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের সশস্ত্র ক্যাডাররা যুদ্ধবিরতিতে যাবে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের সংঘাতের পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

প্রেস নোটে অনন্ত কর্মীদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন-কেউই আলাদা করে আত্মসমর্পণ করবে না, কোনও সিদ্ধান্তই হবে সম্মিলিতভাবে। তিনি আরও বলেন, সরকার যে পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করেছে-পুনা নারকোম/পুনা মার্গম-তাঁর সঙ্গে তাঁরা যুক্ত হতে পারে, তবে সেই অংশগ্রহণকে আত্মসমর্পণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।

সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয়-অনন্ত একটি উন্মুক্ত বাওপেং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রকাশ করেছেন, যাতে দলীয় ইউনিটগুলির মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং নজিরবিহীন পদক্ষেপ।

বার্তায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক সুরও। মুখপাত্র জানিয়েছেন-'যে সরকার তাদের বেশি সম্মান ও গুরুত্ব দেবে, তারা তার পাশেই দাঁড়াবে।' এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে আলোচনার দরজা খোলার একটি বিরল ইচ্ছার।

তিনি ক্যাডারদের আশ্বস্ত করে বলেন, অস্ত্র কিছুদিনের জন্য সরিয়ে রাখা মানে বিশ্বাসঘাতকতা নয়। সশস্ত্র সংগ্রাম কোনও চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়-এটি একটি উপায় মাত্র। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংঘাত আরও বাড়ানোর বদলে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে।

নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এখন খতিয়ে দেখছে, এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণার বাস্তব প্রয়োগ কতটা সম্ভব। তবে এটি কার্যকর হলে সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে মাওবাদী হিংসার সবচেয়ে বড় বিরতি হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement