'Exit Poll-এর দিন বাজারে কোনও কারচুপি হয়নি', বিরোধীদের অভিযোগে উড়িয়ে ক্লিন চিট SEBI-র

এক্সিট পোলের দিন কোনও কারচুপি হয়নি: সেবি

বিরোধী দলগুলি এরপরেই অভিযোগ তোলে যে, এই এক্সিট পোল ও রেজাল্টের সময় বাজার ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যানিপুলেট করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান। তিনি বলেন, 'শেয়ার বাজার সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই খবর দেখলাম। দেখে আমার মনে হল, ডাল মে তো কুছ কালা হ্যায়।' রাহুল গান্ধী এক সাংবাদিক সম্মেলনে এটিকে শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি আখ্যা দিয়ে JPC তদন্তের দাবি তোলেন।

এমনই প্রেক্ষাপটে সেবি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিনে তা সম্পূর্ণ হয়েছে। তদন্তে কারচুপির কোনও ইঙ্গিত পায়নি সেবি। বাজারে কারসাজি এবং ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের কোনও প্রমাণ মেলেনি৷

'ভয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা'

রিপোর্টে বলা হয়েছেস, SEBI এই বিষয়ে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেছে। প্রতিটি তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কোনও কারচুপি মেলেনি। তবে বাজারে তীব্র ওঠানামা ছিল। এর কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের পরিস্থিতি ছিল।

বাজার বিশেষজ্ঞরা ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, গণনার দিনে এমন অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন। তবে বহু ছোট বিনিয়োগকারীদের লোকসানের শিকার হওয়ার দাবিটা যুক্তিযত নয়। 

এফপিআই (বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগ) 3,073 কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে এবং পরবর্তী সেশনেই 22,511 কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। তার প্রভাবে ওঠানামা করেছে বাজার। .

গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী

আসুন আমরা আপনাকে বলি যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বাজারে কথিত কারসাজির বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। এটিকে শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি আখ্যা দিয়ে তিনি জেপিসি দাবি করেছিলেন। রাহুলের পরে, TMC সাংসদ সাকেত গোখলে তার অভিযোগে অভিযোগ করেছিলেন যে "এক্সিট পোল সংস্থাগুলি তাদের ক্লায়েন্টদের এক্সিট পোল প্রচারের আগে উন্নত তথ্য সরবরাহ করেছিল, যার ফলে তাদের অ-প্রকাশ্য তথ্যের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে অন্যায্য এবং অভ্যন্তরীণ প্রভাব দেওয়া হয়েছিল। "সুবিধা পেয়েছি।"

ভোটের প্রকৃত গণনার এক দিন আগে 3 জুন বাজার বেড়েছে, কারণ এক্সিট পোলের পরিসংখ্যান বিজেপিকে ভূমিধস সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিচ্ছে। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে, বিজেপিকে প্রায় 350টি আসন দেওয়া হয়েছিল, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় 272 আসনের চেয়ে অনেক বেশি। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ যে এক্সিট পোল অনুমানগুলির কারণে, স্টক মার্কেট 3 জুন বেড়েছে। কিন্তু 4 জুন ইক্যুইটি বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এবং নিফটি 4 জুলাই প্রায় 6 শতাংশ কমেছে।

একই সময়ে, ফলাফলের পরে, সরকার বলেছে যে বিরোধীরা যে বিষয়গুলি উত্থাপন করছে তা ভিত্তিহীন, কারণ খুচরা বিনিয়োগকারীরা উভয় দিক থেকেই লাভবান হয়েছেন।

3 জুন এক্সিট পোলের পর বাজারে ঠিক কী ঘটেছিল?

লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম পর্বের পরে, এক্সিট পোল আসতে শুরু করে। প্রায় সবক'টিতেই বিজেপি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গত 1 জুন (শনিবার) এক্সিট পোল আসে। পরদিন শেয়ারবাজার বন্ধ থাকে। এরপর সোমবার, 3 জুন শেয়ারবাজার খোলে এবং এক্সিট পোলের অনুমানের প্রভাবে বাজারে রেকর্ড ভাঙা উত্থান দেখা যায়। 3 জুন, ভোটের রেজাল্টের এক দিন আগে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) 30-শেয়ারের সেনসেক্স সূচক 2000 পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটিও 733.20 পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।  

নির্বাচনী ফলাফলের দিন বাজারে  বিশৃঙ্খলা 

4 জুন, 2024-এ, যখন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করে, তখন ক্রমেই শেয়ারে ধস নামে। BSE সেনসেক্স 1700 পয়েন্ট লসে ওপেন হয়। 12.20-র মধ্যেই এটি 6094 পয়েন্ট কমে 70,374-এর স্তরে নেমে আসে। অন্যদিকে, নিফটি সূচক প্রায় 1947 পয়েন্টে কমে 21,316-এর স্তরে পৌঁছায়। করোনা সময়ের পর বাজারে এটাই সবচেয়ে বড় পতন।